নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার বলেশ্বপুরে গভীর রাতে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নগদ টাকা, সোনার গয়নাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায় ডাকাত দল। গত শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের হারোকান্দি-বলেশ্বপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর গতকাল শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার ও আবুল বাশার (হেডকোয়ার্টার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডাকাতির ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।আলমডাঙ্গার বলেশ্বপুরে গভীর রাতে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নগদ টাকা, সোনার গয়নাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায় ডাকাত দল। গত শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের হারোকান্দি-বলেশ্বপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর গতকাল শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার ও আবুল বাশার (হেডকোয়ার্টার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডাকাতির ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানী লোকজন সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের হারোকান্দি-বলেশ্বপুর গ্রামের মৃত রবগুল হোসেনে ছেলে সিরাজুল ইসলাম তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়ির বারান্দায় শুয়েছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র হাঁসুয়া নিয়ে তাঁদের ওপরে হামলা করে। বাড়ির লোকজনের গলায় হাঁসুয়া ধরে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে নগদ পাঁচ হাজার টাকা, দুটি সোনার আংটি ও দুটি মোবাইল ফোন লুট করে ডাকাতেরা। পরে পাশের বাড়ির মৃত হাসেম আলীর ছেলে জিয়াউর রহমানের বাড়িতে ডাকাত দল হামলা চালায়। এ সময় তাঁদের ওপরেও একইভাবে গলায় হাঁসুয়া ঠেকিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে আলমারি ভেঙে নগদ ১২ হাজার টাকা, ১ জোড়া সোনার কানের দুল ও ১ জোড়া রুপার তৈরি পায়ের নূপুর নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতেরা। এ ঘটনাটি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। ডাকাতির ঘটনায় ঘোলদাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ কাশেম জানান, ‘ঘটনা আনুমানিক একটার দিকে ঘটলেও আমরা পৌনে তিনটার দিকে থানা কর্তৃক ম্যাসেজ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। ডাকাতির ঘটনায় কেউ আহত হননি। ডাকাতেরা তাঁদের দেশীয় অস্ত্র হাঁসুয়ার মাধ্যমে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।’ আলমডাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, ‘ডাকাতির ঘটনা জানার পরই দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। তবে আশা করি, ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আটক করতে সক্ষম হবে থানার পুলিশ।’