নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন গতকাল বুধবার দুপুরে আাকষ্মিক সাব রেজিস্ট্রি অফিস পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সাবরেস্ট্রিার অফিসে প্রবেশ করতে গেলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাকবিত-া বাঁধে। এ ঘটনায় সাবরেজিস্ট্রারের পক্ষ নিয়ে কথা বলায় চেয়ারম্যানের হাতে থাপ্পর খেয়েছেন দলিল লেখক টুকু। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসকে ঘিরে ব্যাপক ঘুষ ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন সাব রেজিষ্ট্রার মামুন বাবর। সরকারি নিয়মানুযায়ী সকাল নয়টার দিকে অফিসে আসার কথা থাকলেও, প্রতিনিয়ত বেলা এক থেকে দুইটার দিকে অফিসে আসেন। এর ফলে জমি রেজিষ্ট্রি করতে আসা সাধারণ জনগণ ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন। এ কারণে গত বছরে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখকেরা লাগাতার ধর্মঘট পালন করেন। এ দুর্নীতি ও অসময়ে অফিস আসার বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও তা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাবরেজিষ্ট্রার মামুন বাবর নিজেকে পাল্টাননি বরং আরও বেপরোয়া জীবনযাপন শুরু করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতো সব অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বেলা একটার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে আকস্মিক পরিদর্শন করেন। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে আসার খবর শুনে তৎক্ষণা তখনি অফিসে প্রবেশ করেন সাব রেজিষ্ট্রার মামুন বাবর। অসময়ে অফিসে আসা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাব রেজিষ্ট্রারের বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় সাব রেজিষ্ট্রারের দুর্নীতি-অনিয়ম ঢেকতে তাঁর পক্ষ নিয়ে মৃত দলিল লেখক আজিবারের ছেলে টুকু উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন টুকুকে থাপ্পর মারেন। এ ঘটনার পর থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলাবাসী তাঁকে সাধুবাদ জানান। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলোর দুর্নীতির বিরুদ্ধে খোঁজখবর নিয়ে তা প্রতিহত করলে হয়ত সাধারণ জনগণের ভোগান্তি কমবে।