নিউজ ডেস্ক:
আরব বিশ্বের প্রথম ২৪ ঘণ্টার সংবাদ চ্যানেল হিসেবে ১৯৯৬ সালে আত্মপ্রকাশ করা কাতারের আল জাজিরা টিভি নেটওয়ার্ক নিঃসন্দেহে মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষুদ্র এই দেশটিকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে জায়গা করে দিয়েছে। তবে কাতারের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সঙ্কটের ফলে এই হাই প্রোফাইল নেটওয়ার্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দানা বাঁধছে। যদিও সোমবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি জানিয়েছেন, দোহা ভিত্তিক মিডিয়া গ্রুপ আল জাজিরা নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা করা হবে না। তিনি বলেন, আল জাজিরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বাইরের কার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে দোহা বসবে না। অবরোধ সংক্রান্ত ব্যাপারে আল জাজিরাকে নিয়ে আলোচনার কোনো সূচি হবে না।
সম্প্রতি আর্ন্তজাতিক সংবাদ মাধ্যমেগুলোতে প্রচার হচ্ছে যে, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ আল জাজিরার মতো সংবাদ মাধ্যম বন্ধ করার জন্যই কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে। কারণ আল জাজিরা সমালোচনামূলক সংবাদ প্রকাশ করে।
এ ব্যাপারে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আল জাজিরা ইস্যুতে বিদেশি কারও নির্দেশ দোহা কখনও মানতে প্রস্তুত নয়। কাতারের অভ্যন্তরীণ বিষয় আমাদের সার্বভৌমত্ব। আমি জানি না, সৌদিসহ অন্যরা কেন অবরোধ আরোপ করেছে।
যদিও বর্তমান সঙ্কটের উত্তাপ আগেই অনুভব করেছিল আল জাজিরা। মে মাসের শেষ নাগাদ তাদের ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয় সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন। মিসরের অভিযোগ ছিল, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল আল জাজিরা।
উল্লেখ্য, সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন কাতারের সঙ্গে গত ৫ জুন কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। পরবর্তীতে লিবিয়া এবং ইয়েমেনও কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে। এর পরপরই সৌদি ও জর্ডানে আল জাজিরার কার্যালয় বন্ধ করে দেয় দেশগুলোর সরকার।