নিউজ ডেস্ক:
১৩৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে লন্ডভন্ড হতে শুরু করেছে কক্সবাজারে উপকূলীয় এলাকা। ‘মোরা’র আঘাত শুরু হওয়ার সাথে সাথে বাড়ছে বাতাসের গতিবেগ। প্রচণ্ড বাতাসে লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে দেশের সর্ব দক্ষিণের সেন্টমার্টিন, শাহাপরীরদ্বীপসহ উখিয়া, টেকনাফের অধিকাংশ এলাকা। ভেঙে যাচ্ছে অধিকাংশ কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি।
ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে দমকা বাতাসে উপড়ে যাচ্ছে গাছপালা, বিলিন হচ্ছে মাছের ঘের, নষ্ট হয়ে গেছে লবনের মাঠ ও পানের বরজ। নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যাচ্ছে অসহায় মানুষ। তবে এখনো পর্যন্ত কোন প্রাণহানীর খবর পাওয়া যায়নি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও শক্তিশালী হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। মঙ্গলবার সকালে এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আবহাওয়া অধিদফতরের এক বার্তায় একথা বলা হয়েছে। একই সাথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত পুনরায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৫ নম্বর পুনঃ ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।