এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে আন্দোলনরতদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘আপনাদের ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ তাদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করতে পারে। তারা সব জায়গায় প্রচারণা চালাচ্ছে, আগেই ভালো ছিল। এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমরা তাদের সুযোগ দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কিংস পার্টি নই। আমরা কিংস মেকার।’
তারও আগে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের বরাত দিয়ে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, চিকিৎসা নিতে আসা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা চলছে। তারা আশা করছেন বৃহস্পতিবারের মধ্যে বিষয়টির সুরাহা হবে।
উল্লেখ্য, সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ জানানোর পাশাপাশি নিজেদের চরম দুর্দশার কথা তুলে ধরতে হাসপাতালের শয্যা ছেড়ে দুপুর থেকে সড়কে বিক্ষোভ করছেন জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা।
তারা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে যে অর্থ দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তা এখনও তারা হাতে পাননি। তাদের অনেককেই এখন মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।