নিউজ ডেস্ক:প্রায় দিন পনের আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবড়িয়া গ্রামের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের রিপন (৩২) নামের এক যুবকের সাথে আকন্দবড়িয়া নতুনপাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে ফিল্টুর (৩০) বিরোধ হয়। এতে এক পর্যায়ে মাহাবুব ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিপনকে কুপিয়ে জখম করে। এ নিয়ে একটি মামলা করে আহত রিপনের পরিবার। এরই জের ধরে গতকাল বুধবার মিমাংসার কথা বলে, ফিল্টুর বড় ভাই মাহাবুব, তার মা আলোয়া খাতুন ও তার চাচা নিজামউদ্দিনকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মনিরুজ্জামান ধীরু বাউলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আহতরা বলেন, পূর্বের মারামারির ঘটনায় মনিরুজ্জামান ধীরু বাউল আমাদেরকে মিমাংসা করার জন্য বুধবার রাতে তার নিজ বাড়িতে ডাকে। এতে মাহাবুব, তার মা আনোয়ারা খাতুন ও চাচা নিজামুদ্দিন গেলে তাদের নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকা গোপনে দিতে বলে ধীরু বাউল। তারা গোপনে টাকা দিতে অস্বীকার জানালে তাদের উপরে উত্তেজিত হয় ধীরু। এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামান ধীরু ও তার ছোট ভাই স্বপন তাদের তিনজনকে পিটিয়ে জখম করে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান ধীরু বাউল এ প্রতিবেদককে অস্বীকার করে বলেন, আমার বাড়িতে কোন মিমাংসা হয় নি, তবে আমার বাড়ির সামনে হয়েছে। আর আমি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম না বলে জানান তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে মারধর ও টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে বেগমপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। কয়েক দিন আগে দুই যুবকের মারামারি হয়েছিল। এই ঘটনার মিমাংসা করার জন্য ডাকলে বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মনিরুজ্জামান ধীরু বাউলের বাড়িতে আসে ফিল্টুর বড় ভাই মাহাবুব, তার মা ও চাচা। একপর্যায়ে তাদেরকে ধীরু বাউল ও তার ভাই স্বপন পিটিয়ে জখম করেছে। তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো বলে জানান এই কর্মকর্তা।