অস্বাভাবিক আচরণের পর প্রসূতির মৃত্যু!

0
20

মেহেরপুরে এ্যাপোলো নার্সিং হোমে ভুল করে দু’বার অপারেশন
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুর এ্যাপোলো নার্সিং হোমে ভুল সিজারে শেলিনা নামের এক প্রসূতি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সন্ধ্যায় এ্যাপোলো নার্সিং হোমে। তাকে দুইবার অপারেশন করা হয় বলে জানান নিহতের ভা’য়ের ছেলে তানিন। নিহত শেলিনা গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামের আরজান আলীর স্ত্রী। এ্যাপোলো নার্সিং হোমের চুক্তিভিত্তিক ডাক্তার পারভিন আক্তার তাকে সিজার করে বলে জানা যায়।
নিহতের মামি শাশুড়ি বলেন, সকালে প্রসববেদনা শুরু হলে শেলিনাকে মেহেরপুরের এ্যাপোলো নার্সিং হোমে নিয়ে আসা হয়। সেখানে আসার পর তাকে সিজার করতে হবে বলে জানান ডাক্তাররা। ডাক্তারের কথা মত আমরা সিজার করার জন্য রাজি হয়ে যায়। সকাল ১১টার দিকে তাকে তাকে সিজার করে বাচ্চা ভুমিষ্ঠ করা হয়। সিজারের পর রোগীকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরপর দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। রক্ত দেওয়ার পর রোগী অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে, ছটফট শুরু করে সেই সাথে নিজের চুল ি জেই ছিড়তে থাকে। এমন আচরণ দেখে আমরা ডাক্তারের কাছে গেলে তারা বলেন, রক্ত দিয়েছি তাই এরকম আচরণ করছে কিছুক্ষন পর ঠিক হয়ে যাবে। রোগীর অবস্থা ক্রমেই অবনতি হলে বিকাল ৫টার দিকে শেলিনাকে আবার অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে পুনরায় অপারেশন করা হয় এবং সেইসাথে আরও এক ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। দ্বিতীয় অপারেশন করার পর রোগীর অবস্থা আরও অবনতির দিকে যায়। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শেলিনা আক্তার মৃত্যুবরন করেন।
এই ব্যাপারে ডা. পারভিন আক্তার বলেন রোগীর শরীরে রক্ত কম ছিল। তাকে সকালে সিজার করার পর তার শরীরে রক্ত দেওয়া হয়। তারপর তার আচরন খারাপ দেখলে আমরা পুনরায় তাকে পরীক্ষা করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিই। সেখান থেকে বের করে রোগীর অবস্থা ভাল দেখে আমি চলে যায়। আমি চলে যাবার পর তার শরীরে আবার রক্ত দেওয়া হয়। কিন্তু সে রাত ৯টার দিকে মারা যায়। ডা.পারভিন আক্তার আরও বলেন আমাদের সিজারে কোন ভুল ছিল না। কিন্তু কিভাবে মারা গেল আমি বুঝতে পারছিনা। নিহত শেলিনার স্বামী আরজান আলী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন সকালে যখন শেলিনাকে নার্সিং হোমে নিয়ে আসি তখন সে শারীরিকভাবে সুস্থ্য ছিল। সিজার করার পর সে অসুস্থ্য হয়ে যায়। সে নাসিং হোম কতৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন একজন রোগীকে কেন দুইবার অপারেশন করা হয়। শেলিনা মারা গেলেও তার পেটের বাচ্চা বর্তমানে সুস্থ্য আছে।