দামুড়হুদার বড় দুধপাতিলায় গভীর রাতে দুই বাড়িতে ডাকাত দলের হানা
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার দুধপাতিলা গ্রামে গভীর রাতে দু’বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, সোনার গহনাসহ প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। গত রোববার দিবাগত রাতে দামুড়হুদার দুধপাতিলা গ্রামের পূর্বপাড়ায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ১৫/১৬ জনের এক দল ডাকাত দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের বড় দুধপাতিলা গ্রামের পূর্বপাড়ার দুধপাতিলা ব্রিজ নামক সড়কের নিকট জহুর আলীর ছেলে মুকুল হোসেন (৪০) ওরফে মুলুক চাঁদের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় বাড়ির লোকজনকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি ঘরে আটকে ফেলে। দেশিও অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে মুলুক চাঁদের ঘরে যা কিছু আছে বের করে দিতে বলে। এসময় মুলুক চাঁদের স্ত্রী লাইলী খাতুন (৩০) অস্বীকার করলে লাইলী খাতুনকে মারধর করে। এর এক পর্যায়ে ঘরের মালামাল তছনছ করা শুরু করে ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে বাধ্য হয়ে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে গরু বিক্রির নগদ ১২ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল দিয়ে দেয়। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলের সদস্যরা ফিরে যাওয়ার সময় গৃহবধু দুই সন্তানের জননী লাইলী খাতুনের কান থেকে স্বর্ণের এক জোড়া দুল, মেয়ে বন্যা খাতুনের কান থেকে এক জোড়া দুল ও শাশুড়ী সুন্দরী খাতুনের কানে থাকা স্বর্ণের এক জোড়া কানের দুল খুলে নিয় যায়।
এরপর পাশের বাড়ি বাবুর ছেলে ইনতাজুলের বাড়িতে হানা দেয় ডাকাত দল। এসময় বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা না খুললে ডাকাত দলের সদস্যরা ফিরে এসে হাতিয়ার হিসাবে মুলুক চাঁদের স্ত্রী লাইলীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের দরজা খুলতে বাধ্য করে। পরে ঘরের দরজা খুললে ডাকাত দলের সদস্যরা বাবুর ছেলে ইনতাজুলের ঘরে প্রবেশ করে ঘরে থাকা নগদ ৫৪০ টাকা নিয়ে নেয়। ডাকাতি শেষে ফিরে যাওয়ার সময় ইন্তাজুলের হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে গেলে সে ফোন দিতে না চাইলে লাঠি দিয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পিঠে আঘাত করে হাতের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা বলে এ ঘটনা কাউকে বললে তোদের কাউকে বাঁচাবো না। এরপর ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতি শেষে নির্বিঘেœ পালিয়ে যায়। এতে চরম ভয়ে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। ডাকাতি আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকায়। এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস ডাকাতির ঘটনা সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, ডাকাত দলের সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।