আমঝুপি প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের জিব্রাইল হোসেনের মেয়ে স্বার্ণালী আক্তার জিনিয়া (১৩), নিখোজের ২০ দিন পর মেহেরপুর জেলা পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে অভিযুক্ত কোন আসামী গেফতার হয়নি।
জানাগেছে, গত সোমবার জিনিয়া ঢাকা থেকে গাংনী বাসস্ট্যান্ডে নামে। সেখান থেকে লোকাল বাসে চড়ে মেহেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামলে সদর থানার পুলিশ (তদন্ত কর্মকর্তা ) এস আই আহসান হাবিব গোপন সংবাদের ভৃত্তিতে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উদ্ধার করে। পরে সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং দুপুরের দিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা শেষে জেলখানার সেফ হোম এ নিরাপদে রাখা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে জিনিয়া কে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পর্ণ করে মেহেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট এর আদালতে হাজির করা হলে ভিক্টিমের জবান বন্দি রেকর্ডসহ জিনিয়া কে তার পিতা হেফাজতে রাখার আদেশ দেয় আদালত । এ সময়ে আদালত প্রাঙ্গনে জিনিয়ার আত্মিয় স্বজন সহ মানবধিকার সংগঠন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক)এর আইন ও সলিশ ইউনিটের নেত্রীবৃন্দ ও প্রোগ্রাম অফিসার সোনিয়া আক্তার উপস্থিত ছিলেন ।
তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আহসান হাবিব এর সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ভিক্টিমকে উদ্ধার করা হয়েছে তার জবানবন্দী তথ্য মোতাবেক পরবর্তিতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মানবধিকার সংগঠন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর নির্বাহী প্রাধান আশাদুজ্জামান সেলিম ও জেলা জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম এর সভাপতি রফিক-উল আলম জিনিয়াকে উদ্ধার করায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একই সাথে ভিক্টিমকে সব ধরণের আইনগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
উল্লেখ্য গত ১৩ মার্চ আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী জিনিয়া স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোজ হয়, তাকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) ও জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম মেহেরপুর এর যৌথ আয়োজনে মানববন্ধন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্বারকলীপি প্রদান সহ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জিনিয়ার বাবা তার মেয়ে উদ্ধার হওয়াই পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক , স্থানীয় মানবধিকার সংগঠন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) ও জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।