আলমডাঙ্গার বকসিপুরে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র নাহিদের সাহসিকতা
নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার বকসিপুর গ্রামের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র নাহিদ হাসানের সাহসিকতায় রক্ষা পেল পাঁচ বছরের শিশু আরাফাত। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বোরকা পরা অজ্ঞাতনামা এক নারী পেয়ারা খাইয়ে অজ্ঞান করে আরাফাতকে নিয়ে যাওয়ার সময় নাহিদের চিৎকারে আরাফাতকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বকসিপুর গ্রামের রাসেল আলীর ছেলে আরাফাত হোসেন (৫)। চাকরির সুবাদে রাসেল দম্পতি ঢাকাতে থাকেন। শিশু আরাফাত তার দাদির কাছে থেকে বড় হচ্ছে। গতকাল সকালে আরাফাত বাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাস্তায় খেলা করে বেড়ানোর সময় তাকে একা পেয়ে অজ্ঞাতনামা বোরকা পরা একজন তাকে পেয়ারা খেতে দেন। পেয়ারা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরাফাত নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং মুখ দিয়ে ফেনা তুলতে থাকে। পাশের বাড়ি নাজমুলের ছেলে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র নাহিদ হাসান দোকানে যাওয়ার সময় এ অবস্থা দেখে আরাফাতকে জিজ্ঞাসা করে কার সঙ্গে যাচ্ছিস। নাহিদ বলে, ‘আরাফাতকে ছেড়ে দাও, না হলে আমি চিৎকার করব।’ তখন ওই বোরকা পরা নারী আরাফাতকে ফেলে পালিয়ে যান। আরাফাতকে স্থানীয় একটি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার জ্ঞান ফিরে এলে তাকে বাড়িতে আনা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বোরকাপড়া ওই নারীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে, আরাফাতের মায়ের সঙ্গে তার পিতার সম্পর্ক ভালো না, সে কারণে আরাফাতের মা বোরকা পরে গোপনে তাঁর ছেলে আরাফাতকে নিয়ে যাচ্ছিল, কিন্ত বাধ সাধে পাশের বাড়ির ছেলেটি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।