নিউজ ডেস্ক:জীবননগরে অতিরিক্ত বইয়ের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সরকারী নিয়মনীতি ছাড়াই কিন্ডার গার্টেন স্কুলগুলোর শিক্ষকরা নামী-বেনামী বই প্রকাশনীদের হাতে হাত মিলিয়ে শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাথায় চাপিয়ে দিচ্ছে অতিরিক্ত বইয়ের চাপ। যার ফলে এক দিকে শিশু শিক্ষার্থীরা যেমন বই দেখলেই ভয় পাচ্ছে, অন্যদিকে মেধাবী নয় বরং মেধা শুন্য হয়ে পড়ছে। এনিয়ে অভিভাবকরাও হতাশ এবং চিন্তিত। কিন্তু সবাই কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষক ও মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। কিন্তু কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষকদের দাবি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করাতে এবং প্রতিযোগিতার যুগে যোগ্য করে গড়ে তুলতেই অতিরিক্ত বইয়ের চাপ।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলায় সব মিলিয়ে ২৩টি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের কার্যত্রম পরিচালিত হয়। প্রায় প্রত্যোক স্কুলেই ভর্তি বাবদ ৭৫০টাকা থেকে ১ হাজার টাকা লাগে ভর্তি করাতে এবং মাসিক বেতন বাবদ অভিভাবককে ২৫০টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়। এই ভর্তি এবং মাসিক বেতন নেওয়ার বিষয়ে কোন সরকারি নিয়ম মানা হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রায় কিন্ডার গার্টেন স্কুলগুলোর শিক্ষক ও পড়াশুনার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এমনকি অভিযোগ রয়েছে এই স্কুলগুলোর অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা ৮ম শ্রেণি থেকে সর্বসাকুল্যে এইচএসসি পাশ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে এক অভিভাবক বলেন, আমরা যে সন্তানকে সরকারী প্রাইমারী স্কুলে ছেলে মেয়েদের ভর্তি করবো, তা সম্ভব না কারণ কিন্ডার গার্টেন স্কুলে কিছুটা হলেও প্রাইমারির থেকে পড়াশুনা ভালো হয়।
এবিষয়ে জীবননগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমার কাছে সরকারীভাবে আশা একটি পরিপত্র জীবননগর উপজেলায় যে সমস্থ কিন্ডার গার্টেন স্কুল আছে তাদের পৌছে কাছে দিয়েছি। পরিপত্রে যে বিষয়গুলো উল্লেখ আছে, সেগুলো কিন্ডার গার্টেন স্কুলগুলো মানছে কিনা, তা মনিটর করা হচ্ছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।