আলমডাঙ্গার খাসকররায় বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিশাল জনসভা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ছাতা বিতরণ অনুষ্ঠিত!
আমার মিশন ও ভীষণ স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়া : খাসকররার জনসভায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা
শত শত মোটরসাইকেল আর হাজার হাজার মানুষের ঢলে আলমডাংগা শহর যানজটে অচল, সভাস্থল রুপ নেয় জনসমুদ্রে
আলমডাংগা অফিস/স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশের এ বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে সকলকে সমবেত হতে হবে। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবারো রাস্ট্র ক্ষমতা এসে উন্নয়নের এ যাত্রা অব্যাহত রাখবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিস্ময়কর এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং চুয়াডাঙ্গা-আলমডাংগাকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হতে চাই। আমি গত ১০ বছর ধরে এ জেলার মানুষের কল্যাণে ও উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ছাতা বিতরণ করছি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জননেত্রীর এই উপহার বিতরণ করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার আলমডাংগা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নে আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এই অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ সন্তান ব্যারিস্টার বাদল রশীদ অসামান্য অবদান রেখেছেন। তার আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করছি ও তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার ও আমার মায়ের পরিবারের প্রায় ২৭জন স্বজনকে আমরা হারিয়েছি। এ দেশটা আমরা রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছি। তাই জামাত-বিএনপির কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবো না। দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিকেরা রুখে দিয়ে সোনার বাংলা গড়বো।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরও বলেন, স্বেরাচারী শাসক জিয়াউর রহমান যখন হ্যা-না ভোট করেছিলো, তখন এই প্রত্যন্ত অঞ্চল খাসকররা মানুষ তাকে গ্রহণ করেনি। সেই হ্যা-না ভোটে ৯৫ শতাংশ মানুষ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন। তাই আমি আওয়ামী লীগের ঘাটি এই খাসকররা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ছাতা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করলাম। এই কার্যক্রম চলবে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমিই নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাবো, এটা আমার বিশ্বাস। কারণ আজকের এই মতবিনিময় সভা যেভাবে জনসমুদ্রে রুপ নিয়েছে, তা সত্যিই খুব ভালো লাগার। আমি যখন চুয়াডাঙ্গা থেকে এই সভাস্থলে আসছিলাম, তখন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ তাদের নিজ খরচে নিজের বাইক ও গাড়ি নিয়ে আমাকে যেভাবে অভ্যার্থনা দিলো, এই ভালোবাসা ভুলবার নই। আমি -আলমডাংগা ও চুয়াডাঙ্গাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আর খাসকররা ইউনিয়নবাসীর এই ভালোবাসা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আনার মনে থাকবে। সবশেষে তিনি আয়োজক ও উপস্থিত আওয়ামী লীগ এবং এর অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। একইসাথে তারাদেবী ফাউন্ডেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ধন্যবাদ দেন এমন আয়োজনের জন্য।
গতকালের এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খাসকররা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিফাত, ইউনিয় আওয়ামী লীগের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, রুহুল আমীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম টুকুল, আলমডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মিলন হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসাইন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মাহমুদুল হক সজল, তারাদেবী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর কবীর শিপলু।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে খাসকররা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা ও খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের পুজা উদযাপন পরিষদের নেতারা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জানান। এরপর অনুষ্ঠানে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ২৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ছাতা বিতরণ করে ছাতা বিতরণ কার্যক্রমের সূচনা করেন। পর্যায়ক্রমে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রতিটি ইউনিয়নে ৩০ হাজার ছাতা বিতরণ করা হবে। আর গতকালের অনুষ্ঠানে দেড় হাজার ছাতা বিতরণ করা হয়।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সিনেমা হল চত্বর থেকে বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ছাতা বিতরণ ও মতবিনিময় সভার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আলমডাংগা পৌছালে শত শত মোটরসাইকেল ও কয়েক হাজার মানুষ তাকে নিয়ে শোডাউন দেয়। এতে করে আধাঘন্টার বেশি সময় আলমডাংগা শহর যানজটে কার্যত অচল হয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিলে যানজট নিরসন করে। এসময় দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে নিয়ে নেতাকর্মীরা নানা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো শহর।