নিউজ ডেস্ক:
কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের দুরন্ত শতরান। ওপেনিং জুটিতে বিধ্বংসী ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো, মিডল অর্ডারে শংকরের ক্যামিও ইনিংস এবং শেষদিকে ফিনিশার রশিদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে এক ওভার বাকি থাকতেই রাজস্থানের ছুঁড়ে দেওয়া পাহাড়প্রমাণ লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলল হায়দরাবাদ। ঘরের মাঠে দ্বাদশ আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি জিতল ৫ উইকেটে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে এটাই হায়দরাবাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।অ্যাওয়ে ম্যাচে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। দলীয় ১৫ রানের মাথায় আক্রমণাত্মক ওপেনার জোস বাটলারকে ডাগ-আউটে ফিরিয়ে দেন লেগ-স্পিনার রশিদ খান। কিন্তু শুরুতে উইকেট ফেলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে ক্রিজে ক্রমেই জাঁকিয়ে বসেন অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে ও সঞ্জু স্যামসন।
আফগান স্পিনার রশিদ ছাড়া হায়দরাবাদের বাকি বোলারদের উপর এদিন নিষ্ঠুর ছিলেন স্যামসন-রাহানে জুটি। ৪৯ বলে ৭০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস এল অধিনায়ক রাহানের ব্যাট থেকে। যা বিশ্বকাপের দলে ঢোকার প্রশ্নে অক্সিজেন জোগাবে টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির ডেপুটিকে। বিপক্ষ বোলারদের সাধারন স্তরে নামিয়ে এনে আইপিএল কেরিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি তুলে নেন তিনি। রাহানে ফিরে গেলেও ৫৫ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৯ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন ইংরেজ অল-রাউন্ডার বেন স্টোকস। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৯ রান যোগ করেন রাহানে-স্যামসন জুটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান তোলে রাজস্থান।জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেন কমলা ব্রিগেডের দুই ওপেনার। স্যামসন-রাহানের পালটা রাজস্থান বোলারদের রীতিমতো শাসন করতে থাকেন এই দুই ওপেনার। প্রথম দশ ওভারের মধ্যে প্রথম উইকেটে ১১০ রান তুলে ম্যাচ অনেকটাই নিজেদের দকঝলে নিয়ে নেন ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো। এরপর ৩৭ বলে ৬৯ করে ফেরেন বিধ্বংসী ওয়ার্নার। ২৮ বলে ৪৫ রানে আউট হন বেয়ারস্টো।দল চালকের আসনে দাঁড়িয়ে গেলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন বিজয় শংকর। জাতীয় দলের পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও ক্রমেই দলের ভরসা উঠছেন এই অল-রাউন্ডার। অধিনায়ক উইলিয়ামসন ১০ বলে মাত্র ১৪ করে ফিরলেও ১৫ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে ফের একবার জাত চেনান শংকর। কিন্তু উইলিয়ানসন আউট হতেই টানা তিন উইকেট খুঁইয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। মাত্র ১ রানে ফেরেন মনীশ পান্ডে।কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে নির্ভরতা জুগিয়ে দ্রন্ত ফিনিশ করেন ইউসুফ পাঠান-রশিদ খান জুটি। হঠাৎই কঠিন হয়ে দাঁড়ানো ম্যাচ নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে দলকে সহজ জয় এনে দেন ইউসুফ-রশিদ। এক ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ। ১২ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন পাঠান। অন্যদিকে বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর ৮ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা আগগান ক্রিকেটার রশিদ খান।