নিউজ ডেস্ক:কদিন আগেই ঘোষণা করা হয়েছে ফিফার বেস্ট অ্যাওয়ার্ড। সেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন রোনালদো-মেসি ও লেওয়ানডস্কি। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান হওয়ায় এক মঞ্চে আসার কোনো সুযোগ ছিল না এ তিন তারকার। তবে তিন জন না হলেও অন্তত দুজনকে এক মঞ্চে দেখার সাধটা পূর্ণ হলো অনেক ভক্তেরই।
এ সুযোগ করে দেয় গ্লোব সকার। দুবাইয়ে তারা ঘোষণা করেছে বর্ষসেরা ও গেল ২০ বছরের সেরা ফুটবলারের নাম। সেখানেই আয়োজন করা হয় এক আড্ডার। ভিন্ন লিগে খেলায় খুব একটা সাক্ষাতের সুযোগ হয় না অনেক তারকারই। তবে এবার সুযোগটা নষ্ট করেননি রোনালদো-লেওয়ানডস্কিরা।
প্রায় এক যুগ ধরে বিশ্ব দেখেছে মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ। বিশ্বসেরা বা বর্ষসেরা খেতাবটা গেছে এই দু’জনের ঘরেই। তবে এবার দুই মহাতারকাকে হারিয়ে সেরা হয়েছেন বায়ার্ন তারকা বরার্ট লেওয়ানডস্কি। মেসি-রোনালদোর পর্যায়ে আসতে চাচ্ছিলেন অনেক দিন ধরেই। করেছেন পরিশ্রমও। তবে মনে ছিল অন্য ভাবনাও।
বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ানডস্কি বলেন, অনেকেই আমাকে বলতো আমি মেসি-রোনালদোর সঙ্গে এক মঞ্চে আসতে পারব কি না। আমি বলতাম, তাদের ডিনারে আমন্ত্রণ জানালেই তো এক টেবিলে বসতে পারব। তবে আমি সবসময় চেষ্টা করেছি নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সেরার স্বীকৃতি অর্জন করতে। শুধু ভক্ত-পরিবার না সতীর্থদেরও অনেক প্রত্যাশা থাকে। এবার সেটা অর্জন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। দলগত ভাবে এবারের মৌসুমটা আমাদের দারুণ কেটেছে। এটাই সম্ভবত বায়ার্নের ইতিহাসের সেরা দল।
৩৫ বছরে অনেক ফুটবলারই ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। তবে ব্যতিক্রম রোনালদো। ফেব্রুয়ারিতে ৩৬ এ পা দেবেন পর্তুগিজ তালিসম্যান। কিন্তু এই বয়সেই যেন চির তরুণ সিআর সেভেন। ২০২০ এ ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে করেছেন ৪৪ গোল। পেয়েছেন অনেক স্বীকৃতিও। তাই এখনই থামার কথা ভাবছেন না এই য়্যুভেন্তাস তারকা।
য়্যুভেন্তাসের ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বলেন, যেকোনো অর্জনই আমাকে আনন্দিত করে। দারুণ সব খেলোয়াড়দের সঙ্গে এক মঞ্চে আসাটাও অনেক সম্মানের। কদিন বাদেই আমার বয়স ৩৬ হবে। কিন্তু আমি এখনো ফুটবল খেলাটা খুব উপভোগ করি।
গ্লোব সকারের এই আয়োজনে মঞ্চ আলোকিত করেন সাবেক স্পেন ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ইকার ক্যাসিয়াসও।