নিউজ ডেস্ক:
ব্লুমফন্টেইনে ইনিংস ও ২৫৪ রানের ব্যবধানে হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে জুটল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা।
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শুরুটা মোটেও ভালো হলো না মুশফিক বাহিনীর জন্য। ব্লুমফন্টেইনে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্টে বাংলাদেশকে ইনিংস এবং ২৫৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ফাফ ডু-প্লেসিসের দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে করা ৫৭৩ রানের জবাবে ১৪৭ রানেই প্রথম ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৭২ রানের বেশি করতে পারেনি মুশফিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ (৪৩)। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট নিয়ে ধ্বংসের নায়ক কাগিসো রাবাদা।
বিনা উইকেটে ৭ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ফলোঅনে পড়া বাংলাদেশ। দলীয় ১৩ রানেই ওপেনার সৌম্য সরকার (৩) রাবাদার শিকার হন। বাজে শটে ফাফ ডু-প্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
প্রথম ইনিংসেও দলীয় ১৩ রানেই আউট হয়েছিলেন সৌম্য। এই তরুণ ওপেনারের উইকেট দিয়ে চলতি বছর প্রথম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেট শিকার করলেন রাবাদা।
প্রথম ইনিংসের মতই দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ মুমিনুল হক। রাবাদার বলেই কেশব মহারাজের হাতে ধরা পড়ার আগে তার সংগ্রহ ১১ রান। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন ইমরুল কায়েস এবং অধিনায়ক মুশফিক। কিন্তু ৩২ রান করে অলিভারের বলে ইমরুল ক্যাচ তুলে দিলে ভাঙে ৩৪ রানের জুটি। মাহমুদ উল্লাহর সঙ্গেও জুটি গড়তে পারেননি মুশফিক। ব্যক্তিগত ২৬ রানে ফিরেছেন পারনেলের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে। রিভিউ নিলেও সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।
৯২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েছিলেন। আগের ইনিংসের নায়ক লিটন দাসের আউটে ভাঙল এই জুটি। ১৮ রান করেই ফিলোকায়োর বলে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। কিছু পরেই ৭ চার আর ১ ছক্কায় সাজানো মাহমুদ উল্লাহর ৪৩ রানের ইনিংসটি শেষ হলো রাবাদার বলে এলগারের তালুবন্দী হয়ে। এটি রাবাদার ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট উইকেট। এরপর শুভাশিস-মুস্তাফিজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কেবল ব্যবধানটাই কমেছে। তবে মুস্তাফিজের ছক্কাটা ছিল দেখার মতোই।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেটে ৫৭৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ধস নামে বাংলাদেশ শিবিরে। মাত্র ১ সেশনেই ১৪৭ রানে অল-আউট হয় সফরকারীরা। এরমধ্য উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাসই ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে ৭০ রান করেন। তা না হলে হয়তো একশর নিচে অলআউট হতো বাংলাদেশ। অনিবার্য পরিণতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ফলোঅন করায় বাংলাদেশকে।