নিউজ ডেস্ক:
ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নিজেদের প্রথম ম্যাচে পা পিছলেছে পাকিস্তান। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে জয় ছাড়া কোনও বিকল্প নেই সরফরাজদের। আর আজ এজবাস্টনে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেই বাজবে বিদায়ঘণ্টা। তাই অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মিকি আর্থারের শিষ্যরা।
এজবাস্টনে তাই নিজেদের উজাড় করে খেলা ছাড়া উপায় নেই সরফরাজ আহমেদের দলের। দক্ষিণ আফ্রিকাই বা ছেড়ে কথা বলবে কেন? তারা ওয়ানডে ক্রিকেটে এ মুহূর্তে ১ নম্বর দল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অভিযান শুরু করেছে শ্রীলঙ্কাকে হেলায় হারিয়ে। আজ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করাই লক্ষ্য অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের।
ওয়ানডেতে মুখোমুখি ৭২ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪৭ বার হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সব শেষ খেলা গত বিশ্বকাপের ম্যাচে ২৯ রানে হেরে গিয়েছিল এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল। পাকিস্তানের ২২২ রানের জবাবে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে ২০২ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। সেই ম্যাচে সমান ৩টি করে উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ ইরফান, রাহাত আলী আর ওয়াহাব রিয়াজ নেই এবার। ওয়াহাব রিয়াজ ভারতের বিপক্ষে খেললেও চোটের জন্য ছিটকে গেছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে।
ভারতের কাছে ১২৪ রানে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আত্মবিশ্বাস তলানিতে থাকলেও সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি সাহস জোগাচ্ছেন দলকে, ‘ওয়াহাব রিয়াজকে হারানোটা বড় ধাক্কা পাকিস্তানের। ওর জায়গায় খেলানো উচিত জুনায়েদ খানকে। জিততে হলে পাকিস্তানকে খেলতে হবে ভয়হীন ক্রিকেট। ’
পাকিস্তানের বর্তমান কোচ মিকি আর্থার একসময় দায়িত্বে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার। তাতে কিছুটা সুবিধা পাওয়ার কথা সরফরাজ আহমেদদের। এ ধরনের ‘গুপ্তচর’ আছে দক্ষিণ আফ্রিকারও। প্রোটিয়াদের অন্যতম সেরা স্পিনার ইমরান তাহির একসময় খেলেছেন পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ও ‘এ’ দলে। সামলাতে হবে এবি ডি ভিলিয়ার্স ঝড়ও। ৩১ ওয়ানডেতে প্রায় ৬২ গড়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডি ভিলিয়ার্সের রান ১৪২৩। শেষ পাঁচ ইনিংসে ৩২৪ করেছেন ১০০-এর বেশি গড়ে! সর্বশেষ খেলা গত বিশ্বকাপের ম্যাচেও করেছিলেন ৭৭। তারপর আবার ছন্দে আছেন হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক, ফাফ দু প্লেসিসরা। বুঝতেই পারছেন মোহাম্মদ আমিরদের আজ কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে এজবাস্টনে।