নিউজ ডেস্ক:
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। কিন্তু প্রথম লেগে ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকার সুবাদে হেরেও ফাইনালে ওঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এ নিয়ে রেকর্ড ১৫তম বারের মত ইউরোপিয়ান ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালে রোনালদোরা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ইতালিয় ক্লাব জুভেন্টাস। ৩ জুন ওয়েলসের কার্ডিফে মুখোমুখি হবে দুই দল।
আর শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলে হেরে হতাশায় সিমিওনের দল। এর আগে প্রথম লেগে রিয়ালের মাঠে রোনালদোর হ্যাট্রিকে ভর করে ৩-০ গোলে জয়ের পরেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল লস ব্লাঙ্কোসদের ফাইনাল। কারণ ফাইনালে যেতে অ্যাটলেটিকোর ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে ৪-০ গোলে জিততে হত, ৩-০ গোলে জিতলে ম্যাচটি যেত অতিরিক্ত সময় অতঃপর টাই ব্রেকার।
সেই আশাতেই উজ্জীবিত সিমিওনের দল ম্যাচের ১৬ মিনিটেই ২ গোল করে বসে। ম্যাচের ১২ মিনিটেই কোকের কর্নার থেকে হেড করে গোল করেন সাউল নিগেস। এরপর তোরেসকে ফাউল করায় ম্যাচের ১৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন অ্যান্তোইন গ্রিজম্যান।
রিয়ালের দর্শকদের চিন্তামুক্ত করেন ইসকো, ম্যাচের ৪২ মিনিটে রিয়ালের একমাত্র গোলটি করেন ইসকো। কারণ তখন ফাইনালে যেতে রিয়ালের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জিততে হত। এরপরে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের পরেও দুই দলের কেউই গোল করতে পারেনি।
বিগত চার মৌসুমে অ্যাটলেটিকো দুইবার (২০১৩-১৪ ও ২০১৫-১৬ মৌসুম) ফাইনালে খেলছে এবং দুইবারই রিয়ালের বিপক্ষে হেরেছে। ২০১৪-১৫ আসরের কোয়ার্টার-ফাইনালেও রিয়ালের কাছে হারে অ্যাটলেটিকো।
সূত্র: গোল ডটকম