নিউজ ডেস্ক:
রোববার আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল, ভিভোই থাকছে প্রধান স্পন্সর। এরপরই সরগরম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অনেকেই আইপিএল বয়কটের দাবি তুলেছিলেন।
চাপে পড়েই এই সিদ্ধান্ত ভিভোর। গত জুনে লাদাখ সীমান্তে চীনা সেনার হাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হন। এরপরেই ভারত জুড়ে চীনা দ্রব্য বয়কটের দাবি উঠেছিল।
টিকটক সহ ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা ভারত যেখানে চীনের বিরোধিতায় সরব, সেখানে কেন আইপিএলের স্পন্সর হিসেবে চীনা কোম্পানিকে রেখে দিচ্ছে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল? সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। এরপরেই মঙ্গলবার আইপিএল থেকে সরে গেল ভিভোও ।
২০১৮ সালে পাঁচ বছরের চুক্তি হয়েছিল ভিভোর সঙ্গে। এরইমধ্যেই তারা ২১৯৯ কোটি রুপি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই)। যদিও আইপিএলের সঙ্গে পুরোপুরি বিচ্ছেদ ঘটছে না ভিভোর। টুর্নামেন্টের সঙ্গে আরো তিন বছরের চুক্তি বাকি। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে এ বছর থাকল না ভিভো। তাই তারা জানিয়েছে, এ বছরের মতো বিরতি নিচ্ছে। ২০২১, ২০২২ এরপর ২০২৩ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ করবে তারা।
বিসিসিআইয়ের তরফে বলা হয়েছে, শীঘ্রই নতুন প্রধান স্পন্সরের নাম ঘোষণা করা হবে।