এ এক আশ্চর্য ইতিহাস। এ যেন অভিশাপের তাড়া করে ফেরা। আইপিএলের ষোলোতম আসরের ফাইনালে গুজরাটের লড়াইটা শুধু চেন্নাইয়ের বিপক্ষেই ছিল না, লড়াইটা ছিল ইতিহাস বদলে দেওয়ারও। কিন্তু ব্যর্থ হার্দিক পান্ডিয়া অভিশাপে কাটা পড়ে। ইতিহাস বলছে, আইপিএলে যখন কোনো দলের দুই ক্রিকেটার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন, সেই দল জিততে ব্যর্থ হয়েছে শিরোপা। অর্থাৎ একই দল থেকে অরেঞ্জ ক্যাপ ও পার্পল ক্যাপ বিজয়ী হলে আইপিএলের শিরোপা জিততে পারে না সে দল।
এর প্রথম উদাহরণ মেলে ২০১৩ মৌসুমে। সে বছর চেন্নাই সুপার কিংসের মাইক হাসি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে অরেঞ্জ ক্যাপ ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসেবে ডোয়াইন ব্রাভো জিতে নেন পার্পল ক্যাপ। সে আসরের ফাইনালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হার মানে চেন্নাই।
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ২০২২ সালেও। সে বছর অরেঞ্জ ক্যাপ জিতে নেন রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার। পার্পল ক্যাপও সেবার রাজস্থানকে উপহার দেন যুঝবেন্দ্র চাহল। সেবার নবাগত গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে যায় প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান।
এবার সেই ইতিহাস বদলে দিতে ব্যর্থ হলো স্বয়ং গুজরাট। ঘটনাবহুল ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হার মানতে হয়েছে তাদের। এবারের অরেঞ্জ ক্যাপের রেসে সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন গুজরাটের শুভমান গিল। ১৭ ম্যাচে ৫৯.৩৩ গড় ও ১৫৭.৮০ স্ট্রাইকরেটে ৮৯০ রান করেছেন ভারতীয় জাতীয় দলের এই ভবিষ্যৎ তারকা। তিনটি শতক ও ৪টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন শুভমান। আসরের সর্বোচ্চ চারও এসেছে তার ব্যাট থেকে।