সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

মুক্তিযুদ্ধের সব সংগঠককে স্বীকৃতির দাবি তাহজীব সিদ্দিকীর !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:২৮:০৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৯২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী (ঝিনাইদহ-৪) মুক্তিযুদ্ধের সকল সংগঠককে প্রাপ্য সম্মান ও স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সংসদে দাবি জানিয়েছেন।
ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল বুধবার সংসদের শতিকালীন অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ দাবি জানান তিনি।

তার বক্তব্যের পর ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপনি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। কিন্তু নোটিশ দিয়ে কোনো বিধিতে বিষয়টি সংসদে আনলে ভালো আলোচনা হতো এবং হয়তো সংসদ গ্রহণও করতো। এর আগে সংসদ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, ইতিহাসের পূর্ণতাই হলো ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম বীরউত্তমকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭’র জন্য মনোনীত করায় অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে চাই, স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য এ যাবতকালে মূলত উর্দিপরা লোকজনই পুরস্কৃত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান খাটো করার কোনো অবকাশ নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশেই বাঙালির অধিকার আদায়ের পটভূমি তৈরি করেছিলেন তারই আস্থাভাজন ৬০ দশকের ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী ও পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তসূরি ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বলেন, শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আমার বাবা নূরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ, আ স ম আব্দুর রব ও প্রয়াত আবদুল কুদ্দুস মাখন। কিন্তু দু:খজনকভাবে বলতে হয় আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু সংবাদ পত্রিকার ভিতরের পাতায় ছোট করে ছাপা হয়। আবদুল কুদ্দুস মাখনের খবরই পাওয়া যায় না। রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ মূল্যায়িত হলেও ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক হিসেবে মূল্যায়িত হননি। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল ক্ষমতায় থাকার পরেও স্বাধীনতার ইতিহাস পূর্ণতা পাবে না- এটি বিস্ময়কর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

মুক্তিযুদ্ধের সব সংগঠককে স্বীকৃতির দাবি তাহজীব সিদ্দিকীর !

আপডেট সময় : ১২:২৮:০৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী (ঝিনাইদহ-৪) মুক্তিযুদ্ধের সকল সংগঠককে প্রাপ্য সম্মান ও স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সংসদে দাবি জানিয়েছেন।
ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল বুধবার সংসদের শতিকালীন অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ দাবি জানান তিনি।

তার বক্তব্যের পর ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপনি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। কিন্তু নোটিশ দিয়ে কোনো বিধিতে বিষয়টি সংসদে আনলে ভালো আলোচনা হতো এবং হয়তো সংসদ গ্রহণও করতো। এর আগে সংসদ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, ইতিহাসের পূর্ণতাই হলো ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম বীরউত্তমকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭’র জন্য মনোনীত করায় অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে চাই, স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য এ যাবতকালে মূলত উর্দিপরা লোকজনই পুরস্কৃত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান খাটো করার কোনো অবকাশ নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশেই বাঙালির অধিকার আদায়ের পটভূমি তৈরি করেছিলেন তারই আস্থাভাজন ৬০ দশকের ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী ও পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তসূরি ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বলেন, শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আমার বাবা নূরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ, আ স ম আব্দুর রব ও প্রয়াত আবদুল কুদ্দুস মাখন। কিন্তু দু:খজনকভাবে বলতে হয় আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু সংবাদ পত্রিকার ভিতরের পাতায় ছোট করে ছাপা হয়। আবদুল কুদ্দুস মাখনের খবরই পাওয়া যায় না। রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ মূল্যায়িত হলেও ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক হিসেবে মূল্যায়িত হননি। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল ক্ষমতায় থাকার পরেও স্বাধীনতার ইতিহাস পূর্ণতা পাবে না- এটি বিস্ময়কর।