নিউজ ডেস্ক:
ঝিনাইদহে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দোকান মালিকরা এবার সার্টার বন্ধ করে রমরমা বেঁচা বিক্রি করছেন।! সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দোকান মালিকদের দোকানের সার্টার বন্ধ করে এধরনের বেঁচা বিক্রি করাকে প্রশাসনের ব্যার্থতা বলে সাংবাদিকদের জানাচ্ছেন শহরবাসিরা। সোমবার সকালে শহরের হাসপাতাল সড়ক, আরাপপুর, হাটখোলা, পাগলাকানায়, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ওয়াবদা কাঁচা বাজার গুলোতে দোকানে ও মানুষের শারিরীক দুরত্ব নেই। এছাড়া লেদ, গ্যারেজ, ফার্নিচার, কাঠ, ওয়েল্ডিং দোকান গুলোতে দেখা গেছে মালিকরা দোকানের দরজা বন্ধ করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অধিক সংখ্যক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেদের দিয়ে এই ভয়াবহ অবস্থায় কাজ করাচ্ছেন। আবার প্রতিদিন ভোরে ঝিনাইদহের বিটিসি’তে (তামাক সেন্টার) তামাক বিক্রয় করতে আশেপাশের মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ঝিনাইদহ সহ ৪/৫টি জেলার লোক সমাগম বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন বিটিসি’তে তামাক বেঁচতে আসা ৪/৫টি জেলার লোক সমাগমে বাড়বে করোনা আক্রমন বলে দাবি শহরবাসিদের। এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করার জন্য ঝিনাইদহ জেলা জুড়েই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও কিছুতেই ঘরমুখো হচ্ছে না মানুষ। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিনিয়ত মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে যেখানে সেখানে জড়ো হচ্ছেন। শহর থেকে গ্রামা লে সর্বত্র মানুষের উপস্থিতি বেড়েই চলছে। এ পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। করোনা সংক্রমণ নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সচেতনতামূলক নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলা পর্যায়ে এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতার অভাব রয়েছে। সামাজিক ও লোকমুখে খবর জেনে অনেক সচেতন মানুষ ঘরে পরিবারের সঙ্গে নিরাপদ থাকলেও অধিকাংশ মানুষ এ নিয়ম মানছেন না। তারা গতানুগতিকভাবেই চলাফেরা করছেন। অন্যদিকে এসব মানুষকে ঘরমুখো করতে প্রশাসনের তেমন কঠোর পদক্ষেপও দেখা যাচ্ছে না। শহরে অবাধে রিকশা, মোটরবাইক, ইজিবাইক চলাচল করছে। মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যখন সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন তখন ঝিনাইদহ শহরের হাসপাতাল সড়ক, আরাপপুর, হাটখোলা, পাগলাকানায়, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ওয়াবদা কাঁচা বাজার গুলোতে মানুষের উপস্থিতি বেড়েই চলছে। বাজার-ঘাট ছাড়াও ব্যাংক, বীমা, মানুষের ঠাঁসা উপস্থিতি দেখা মিলছে। মানুষের জটলা ছুটাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোথাও কোথাও অভিযান চালানো হলেও সেখানে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে শহরের কাঁচামাল বাজারে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ব্যাপক উপস্থিতি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে সেখানে পা ফেলা দায় হয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসের মতো মহামারির কথা ভুলে গেছেন যেন এ বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা। তাদের কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকেই খালি মুখে বেঁচাকেনা করছেন। বাহার নামে এক ক্রেতা জানান, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তিনি বাধ্য হয়েছেন বাজারে আসতে। বেলা ১১ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ওয়াবদা কাঁচা বাজাওে দেখা যায় টিসিবি পণ্য ক্রয়েরর জন্য প্রায় ১০০ জন মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। একই অবস্থা শহরের ব্যাংকগুলোর সামনের চিত্র। সামনে ঠিক আগের দিনের মতো দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা যায়। ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র মিন্টু বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে মানুষকে সচেতন করতে আমাদের পক্ষ থেকে প্রায় ১২ঘন্টা মাইকিং, পোস্টার লিফলেট বিতরণ রলমান রয়েছে। মাঠপর্যায়ে সেনা-পুলিশ কাজ করছেন। তারপরও কিছু কিছু মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন। এসব মানুষকে ঘরমুখি করতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে যাবে বলে তিনি দাবি করেন। এ ব্যাপারে সদও উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদরুজ্জামান শুভ বলেন, শহর ও গ্রামে ইউনিয়ন পর্যায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। সবাইকে যদি বাঁচতে হলে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না।