নিউজ ডেস্ক:কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা জেলার চাষিরা সরিষা আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। এ বছর জেলার চার উপজেলায় বিস্তীর্ণ মাঠে সরিষার চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে এবার চুয়াডাঙ্গায় ২ হাজার ৮৩৬ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা জেলার চাষিরা সরিষা আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। এ বছর জেলার চার উপজেলায় বিস্তীর্ণ মাঠে সরিষার চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে এবার চুয়াডাঙ্গায় ২ হাজার ৮৩৬ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে সদর উপজেলায় ১৯৫ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১ হাজার ৫১০ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ১৬০ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ২৩০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিল। এ বছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ২২২ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে সরিষার চাষ হয়েছে ২ হাজার ৮৩৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১ হাজার ৭৭৫ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৪০০ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৩১১ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ চলতি মৌসুমে সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে হেক্টরপ্রতি সাড়ে সাত মেট্রিক টন। আলমডাঙ্গা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, জেলার অর্ধেক সরিষার চাষ আলমডাঙ্গায় উপজেলায়। জেলায় ২ হাজার ৮৫৬ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। যার মধ্যে এ উপজেলায় চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাসির আহমেদ জানান, এ ইউনিয়নে বারি ১৪-১৫, জবা রায় ও স্থানীয় উন্নত জাতের সরিষার চাষ করেছেন এ এলাকার কৃষকেরা। তিনি জানান, এসব জাত সরিষায় বিঘাপ্রতি ৬ থেকে ৭ মণ সরিষা উৎপন্ন হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটী গ্রামের কৃষক রাকিবুজ্জামান জানান, ‘আমি কয়েক বছর যাবৎ সরিষার চাষ করে থাকি। চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা মহাসড়কের পাশে নবগঙ্গা বিলের মধ্যে এ বছর ৬ বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার চাষ করেছি। জমির পরিচর্যা, বীজ, শ্রমিক, সার ও সেচ বাবদ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি বিঘাপ্রতি ৫ মণ হারে সরিষা পাব। গত বছরের মতো বাজার পেলে মণ প্রতি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২ শ টাকায় বিক্রি করতে পারলে ৬৬ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায় উৎপন্ন সরিষা বিক্রি করতে পারব। কৃষি বিভাগ ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গড়ে বিঘাপ্রতি ৫ থেকে সাড়ে ৫ মণ সরিষা উৎপন্ন হয়। ওই সব জমি থেকে ৫ মণ করে বিঘাপ্রতি সরিষা উৎপন্ন হলে ১০ লাখ ৬ হাজার ৩৫০ মণ সরিষা উৎপন্ন হবে। ওই পরিমাণ সরিষা ২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করলে জেলার উৎপন্ন সরিষা ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকায় বিক্রয় হবে।