নিউজ ডেস্ক:মুসলমানদের কলিজা হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনুচ্চারণযোগ্য পোস্ট দেওয়ায় শৈলকুপা উপজেলার রঘুনন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পিণ্টু মজুমদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফেসবুকে পিণ্টু মজুমদারের পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গত বুধবার রাত আটটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পিণ্টু মজুমদার কুমিড়াদহ গ্রামের চণ্ডি প্রশাদ মজুমদারের ছেলে।মুসলমানদের কলিজা হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনুচ্চারণযোগ্য পোস্ট দেওয়ায় শৈলকুপা উপজেলার রঘুনন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পিণ্টু মজুমদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফেসবুকে পিণ্টু মজুমদারের পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গত বুধবার রাত আটটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পিণ্টু মজুমদার কুমিড়াদহ গ্রামের চণ্ডি প্রশাদ মজুমদারের ছেলে। জানা গেছে, গত বুধবার সকালে নিজের ফেসবুকে রাসুল পাক (সা.), ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম সম্প্রদায় নিয়ে ধর্মীয় উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেন পিণ্টু কুমার মজুমদার। পোস্টটি এলাকাবাসীর নজরে আসার পরপরই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় লোকজন পিণ্টুর বাড়িতে হামলা চালান। তাঁরা হাটফাজিলপুর বাজারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর কুমিড়াদহ গ্রাম থেকে শিক্ষক পিণ্টু কুমার মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে পিণ্টু মজুমদারকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান। তিনি এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। প্রত্যাক্ষদর্শী শফিকুল ইসলাম শিমুল, বিপুল হোসেন, আরজু ও রিপন খান জানান, পুলিশ দক্ষতা ও দ্রুততার সঙ্গে যেভাবে সংক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে গোটা এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে তা ছিল নজিরবিহীন। পুলিশের সঙ্গে তাঁরাও অংশ নেন। তাঁদের ভাষ্য দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পিণ্টু মজুমদারকে গ্রেপ্তারসহ উত্তাল জনতাকে শান্ত করার যে কৌশল অবলম্বরন করা হয়, তা ছিল সাহসী।