চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদে সংবর্ধিত নবাগত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সব সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা পরিষদের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার্স) আবুল বাশারসহ জেলা পরিষদের সব সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সব সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা পরিষদের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার্স) আবুল বাশারসহ জেলা পরিষদের সব সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।এ সময় নবাগত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম শাহান, শফিকুল আলম নান্নু, আসাবুল হক ঠান্ডু, আবু মুছা ও নুরুন্নাহার কাকলী। সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমি এ দুটি বিভাগকে আলাদা করে দেখি না। যত দিন আছি, আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে জেলার সার্বিক উন্নয়নকাজ করে যাব। প্রত্যাশা থাকবে, আমাদের প্রতিটি কাজই হোক জনকল্যাণকর ও সৃজনশীল। নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এমন কিছু করে যেতে হবে, যেন সেই কাজের জন্য বাকি জীবনটা সবাই আমাদের মনে রাখে।’ জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন একই সময়ে সমাবেশ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মূল্যবোধ সৃষ্টি হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে হবে। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গিয়ে কথা বলতে হবে জনপ্রতিনিধিদের। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন আমাদের চেতনা। আপনাদের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে আমার আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। আমি এ জেলার আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়ে এসেছি। জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছি, তাদের সেবাদানের ধরন পরিবর্তন করে আরও সহজ করছি। আমার অফিসে একটি রিসিপশন তৈরি করা হচ্ছে, যেন সবাই সেখানে এসে নিজেদের কথা জানাতে পারে এবং সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলতে পারে। পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন, পুলিশের সঙ্গে থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা।’জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রমজান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে নবাগত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরিচিত হন সবাই। এরপর ফুল দিয়ে বরণ ও ক্রেস্ট প্রদান করে সংবর্ধনা জানানো হয় অতিথিদের। অনুষ্ঠান শেষে এক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন অতিথিরা।