মেহেরপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও বিআরটিএ অফিসে নানা অনিয়ম
নিউজ ডেস্ক:অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মেহেরপুর বক্ষব্যাধি হাসপতাল এবং বিআরটিএ অফিসে দুদক অভিযান চালিয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে দুদক অভিযানে আসে। অভিযানে অভিযোগের প্রমাণ দেখতে পায় দুদক। দুদকের এক কর্মমর্তাসহ দুদকের অন্য সদস্যরা হাসপাতালে ঢুকেই দেখেন, মেহেরপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট আব্দুল মতিন রোগীদের লাইনে রেখে রোগী দেখছেন, দিচ্ছেন ব্যবস্থাপত্র। এ সময় খাতাপত্র পরীক্ষা করে দেখেন, রেজিস্টার আর ওষুধ বিতরণে বিস্তর ফারাক। রোগীকে ওষুধ দিয়েছেন ৩০ পিস আর রেজিস্টারে লেখা হয়েছে ৯০ পিস। দুদকের সহকারী পরিচালক রফিকউদ্দীন খানের নেতৃত্বে অভিযান চলাকালে খবর দেওয়া হয় সিভিল সার্জন ডা. শামীম আরা নাজনীনকে।
সিভিল সার্জন ঘটনাস্থলে এসে জানান, মতিনকে মৌখিকভাবে সর্তক করা হয়েছিল। হাসপাতালে উপস্থিত ডা. ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ‘আব্দুল মতিন আমার কোনো কথা শোনে না। আমি তাঁর বিষয়ে সিভিল সার্জন স্যারের কাছে অভিযোগ করেছি। স্যার তাঁকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছিলেন।’ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস জানান, ‘মতিনকে আমিও কয়েকবার মৌখিকভাবে রোগী না দেখার জন্য বলেছি।’ দুদকের সহকারী পরিচালক রফিকউদ্দীন খান বলেন, মেহেরপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রমাণিত। তিনি সিভিল সার্জনকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। সাভিল সার্জন এ বিষয়ে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
অপর দিকে, হয়রানি, অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগে মেহেরপুর বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুদক। গতকাল সোমবার বিকেলের দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর আগামী দুই দিনের মধ্যে আবেদনকারীদের লাইসেন্স প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিআরটিএর সরকারি কর্মচারী নন, এমন ব্যক্তি মিঠু, স্বাধীন ও শিল্টনকে দায়িত্ব পালন করতে না দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হয়। দুদকের কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক রফিক উদ্দীন খানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানের সময় সেখানে সেবা নিতে আসা অনেকেই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারীরা বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।’