চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গু রোগীদের খোঁজখবর নিতে গতকাল সকাল ১০টায় হাসপাতালে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ ও আরএমও ডা. শামীম কবির।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস জানান, ডেঙ্গু রোগীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুততম সময়ে পরীক্ষার জন্য কিট আনা হয়েছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু জোন চালু করে চিকিৎসা চলছে। এ ছাড়া ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালের নবনির্মিত ১৫০ শয্যার ভবনের আংশিক স্থান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু নিয়ে এক শিশুসহ ৫ জন হাসপাতলে ভর্তি হয়েছেন। তাঁরা হলেন চুয়াডাঙ্গা বড়দুধ পাতিলার ইউনুস আলীর স্ত্রী রওশন আরা (৪০), আলমডাঙ্গা ভালাইপুর গ্রামের সুমির আলীর ছেলে শামীম রেজা (২১), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উজিরপুরের বাবর আলীর ছেলে নাজমুল হাসান , আলমডাঙ্গা উপজেলার খাশকররা ইউনিয়নের রাইশা গ্রামের নবিছউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২১) এবং চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মাঝের পাড়ার শান্ত ইনলামের মেয়ে ফারিয়া (৪)।
আক্রান্ত ব্যক্তিদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রওশন আরা, শামীম রেজা, নাজমুল হাসান ও সাইফুল ইসলাম প্রত্যেকেই রাজধানী ঢাকাতে অবস্থান কালে জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস ধরা পরলে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, শিশু ফারিয়া চুয়াডাঙ্গার মাঝেরপাড়ার নিজ বাড়িতে অবস্থান কালে গত জুলাই মাসের ২৮ তারিখ জ্বরে আক্রান্ত হয়। গত ৩১ তারিখ চুয়াডাঙ্গার হাসপাতাল সড়কের স্মৃতী প্যাথলজি থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করালে রিপোর্টে ডেঙ্গু পজেটিভ আসে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফারিয়াকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারিয়াকে হাসপাতাল থেকে পুনরায় পরীক্ষা করাতে বলেন। পরে হাসপাতালের রিপোর্টে ফারিয়ার ডেঙ্গু নেগেটিভ আসে।
হাসপাতালের শিশু কনসালট্যান্ট ডা. আসাদুর রহমান মালিক জানান, শিশু ফারিয়া এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। শিশুটিকে রাতের জন্য নিজ বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে আজ শুক্রবার শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলা হায়েছে। শিশু ফারিয়ার আবার জ্বর না আসলে তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে।