সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) বলেছেন, ‘জুন মাসের ২২ তারিখে চুয়াডাঙ্গা জেলায় রিক্রুটিং পুলিশ কনস্টোবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও শতভাগ স্বচ্ছ্বতার সাথে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই। এ ক্ষেত্রে একটা ছেলে অথবা মেয়ে যেন মাত্র ১শ’ টাকার বিনিময়ে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পায় তা আমি প্রাণপণে চেষ্টা করবো।’ এ কাজে সাংবাদিকদের প্রতি তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সভা কক্ষে সংবাদিকদের সাথে জেলায় বিভিন্ন অপরাধ নিরোধকল্পে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ‘পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ব্যাপারে কেউ কোন প্রকার ঘুষ বাণিজ্য করে, তাহলে তার তথ্য দিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে যদি আমার কোন সদস্য বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অথবা দালাল চক্রের সদস্যও হয়, কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা প্রস্তুতি প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন, ‘নিরাপত্তার দিক দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা ঝুঁকিমুক্ত। ঈদকে সামনে রেখে মার্কেট ও শপিংমলগুলোকে অত্যন্ত নিবীড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এবার ঈদে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে ডিএসবি সদস্যরা কাজ করবে।’ তিনি বলেন, ‘পুরো জেলায় এবার ৬৭০টি স্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সবকটি স্থানে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। কোন প্রকার নাশকতামূলক কর্মকান্ড কোনভাবেই ঘটতে না পারে সে জন্য সকল গুরুত্বপূর্ণ অফিসারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যেন নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে তারাও এখানেই ঈদ করতে পারে।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘ঈদ যাত্রা নির্বিঘœ করতে বাস টামির্নাল ও স্টেশনে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। ঘরমুখী মানুষ যেন কোনভাবে সমস্যার সম্মুখিন না হয় এ জন্য আমরা সতর্ক নজর রেখেছি। টিকিট কালোবাজারি, চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা যেন না হয় এ ব্যাপারেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঈদের চার-পাঁচদিন আগে থেকে এ ব্যাপারে আরও জোর দেয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা কাজে দ্রুত সাড়াদানে আমাদের চারটি গাড়িতে চারটি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) টিম কাজ করছে।’
সড়কে যানবাহন চলাচল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিশ্চিত অভিযোগ ছাড়া কোন পণ্যবাহী ট্রাক/ট্যাংক/লরি আমরা অযথা থামাবো না।’ তবে শহরের অভ্যন্তরে পণ্য খালাসের কাজ রাত ১০টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে শেষ করার আহ্বান জানান তিনি। তাহলে সড়কে যানজট সৃষ্টি হবে না। আর রাস্তা পরিচালনায় অনেকাংশে সুবিধা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহা. কলিমুল্লাহ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার্স) আবুল বাশার, সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেলসহ জেলার চার থানার ওসি, জেলা গোয়েন্দা ও বিশেষ শাখার কর্মকর্তাগণ। মতবিনিময় শেষে পুলিশ সুপার উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।