মঙ্গলবার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার Logo চাঁদপুর-৩ আসনে গনফোরাম মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবরের মনোনয়ন দাখিল Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম বেপারী Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন Logo চুয়াডাঙ্গা ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কাপছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৬ ডিগ্রি Logo চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জনাব, মো: শরীফুজ্জামান শরীফ এর মনোনয়ন ফর্ম জমা Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অ্যাড. শাহজাহান মিয়া Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মতলব উত্তর উপজেলা শাখার শপথ অনুষ্ঠান Logo আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত’ : প্রধান উপদেষ্টা Logo পলাশবাড়ী চৌমাথায় সৌন্দর্যহীন ফাঁকা জায়গা, নান্দনিক উন্নয়নের দাবি স্থানীয়দের

আগুন আতঙ্ক : মুহূর্তেই শূন্য হাসপাতাল!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের দেওয়া ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার সময় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে লংকাকান্ড ঘটে গেছে। এ সময় আগুনের ধোয়া ও ফায়ার এক্সটিংগুইশাররের গন্ধ হাসপাতালে ঢুকে পড়লে ভর্তিকৃত শত শত রোগী ও সাধারণ মানুষ আগুন আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে মূহুর্তের মধ্যে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাইরে অবস্থান নেয়। এ সময় অনেক রোগীর শরীরের স্যালাইন পুশ করা অবস্থায় দেখা গেছে। অনেক অন্ধ, বোবা ও পঙ্গু মানুষকে স্বজনদের কাঁধে হাত দিয়ে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের ভেষজ বাগানে ছোট পরিসরে ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আইয়ুব আলীসহ ঠিকাদারের লোকজন জড়ো হয়। এ সময় আগুনের ধোয়া ও ফায়ার এক্সটিংগুইশারের গন্ধ পেয়ে রোগীরা আগুন আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে কথা বালিশ নিয়ে শরীরে স্যালাই, রক্তের ব্যাগ ও ইনজেকশন পুশকরা অবস্থায় বাইরে বেড়িয়ে আসে। এ সময় অনেককে চিৎকার চেচামেচি করতে দেখা গেছে। রোগী ও তার স্বজনদের উদ্বেগাকুল পরিস্থিতিতে এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয় হাসপাতাল চত্বর। খবর পেয়ে পুলিশ ও ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে আসেন। তারা এসে দেখান কোন আগুন লাগেনি। গণপূর্ত অধিদপ্তরের দেওয়া ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার মহড়া চলছিল।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দিলীপ কুমার সরকার বলেন, এ ধরণের পরীক্ষা করতে হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করেনি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আইয়ুব আলী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের মহড়া চালানো আমাদের উচিৎ হয়নি। পরীক্ষার আগে রোগীদের আশ্বস্ত করা উচিৎ ছিল।
ঝিনাইদহ প্রকৌশলী গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী ফিরোজ আলী বলেন, আগুন নির্বাপক যন্ত্র ফায়ার এক্সটিংগুইশার ছোট পরিসরে আমরা পরীক্ষা করে দেখছিলাম। কিন্তু রোগীরা বিষয়টি বুঝতে না পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার

আগুন আতঙ্ক : মুহূর্তেই শূন্য হাসপাতাল!

আপডেট সময় : ১০:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের দেওয়া ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার সময় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে লংকাকান্ড ঘটে গেছে। এ সময় আগুনের ধোয়া ও ফায়ার এক্সটিংগুইশাররের গন্ধ হাসপাতালে ঢুকে পড়লে ভর্তিকৃত শত শত রোগী ও সাধারণ মানুষ আগুন আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে মূহুর্তের মধ্যে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাইরে অবস্থান নেয়। এ সময় অনেক রোগীর শরীরের স্যালাইন পুশ করা অবস্থায় দেখা গেছে। অনেক অন্ধ, বোবা ও পঙ্গু মানুষকে স্বজনদের কাঁধে হাত দিয়ে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের ভেষজ বাগানে ছোট পরিসরে ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আইয়ুব আলীসহ ঠিকাদারের লোকজন জড়ো হয়। এ সময় আগুনের ধোয়া ও ফায়ার এক্সটিংগুইশারের গন্ধ পেয়ে রোগীরা আগুন আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে কথা বালিশ নিয়ে শরীরে স্যালাই, রক্তের ব্যাগ ও ইনজেকশন পুশকরা অবস্থায় বাইরে বেড়িয়ে আসে। এ সময় অনেককে চিৎকার চেচামেচি করতে দেখা গেছে। রোগী ও তার স্বজনদের উদ্বেগাকুল পরিস্থিতিতে এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয় হাসপাতাল চত্বর। খবর পেয়ে পুলিশ ও ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে আসেন। তারা এসে দেখান কোন আগুন লাগেনি। গণপূর্ত অধিদপ্তরের দেওয়া ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরীক্ষার মহড়া চলছিল।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দিলীপ কুমার সরকার বলেন, এ ধরণের পরীক্ষা করতে হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করেনি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আইয়ুব আলী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের মহড়া চালানো আমাদের উচিৎ হয়নি। পরীক্ষার আগে রোগীদের আশ্বস্ত করা উচিৎ ছিল।
ঝিনাইদহ প্রকৌশলী গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী ফিরোজ আলী বলেন, আগুন নির্বাপক যন্ত্র ফায়ার এক্সটিংগুইশার ছোট পরিসরে আমরা পরীক্ষা করে দেখছিলাম। কিন্তু রোগীরা বিষয়টি বুঝতে না পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।