বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক

পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন ৫৮ শতাংশ

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:৫৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ মার্চ ২০১৮
  • ৮০৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কাজ। ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫৮ শতাংশ। জানুয়ারি পর্যন্ত অগ্রগতির এ হার ছিল ৫৭ শতাংশ। এছাড়া প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৫২ শতাংশ।

গত সপ্তাহে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফার্স্ট ট্র্যাক অগ্রগতি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ চিত্র। প্রতিবেদনে মোট ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পদ্মা নদী শাসন কাজ ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ ৯৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাওয়া প্রান্তে অ্যাপ্রোচ সড়কের শতভাগ, সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে, ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

এর মধ্যে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৭৬ কোটি টাকা- যা মোট বরাদ্দের ৫২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। জানুয়ারি পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ছিল ১৪ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা। এছাড়া সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা এ প্রকল্পে চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৫২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সেখান থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ হাজার ২৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম রোববার যুগান্তরকে বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। এজন্য এসব প্রকল্পে বরাদ্দসহ সব কিছুই যাতে স্বাভাবিক থাকে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তাছাড়া বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা থাকলে বৈদেশিক সহায়তা সংশ্লিষ্ট হলে ইআরডি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করে। প্রতিবেদন- এটি নিয়মিত ব্যাপার।

এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলার থাকে না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে মূল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৫৭০ কোটি ১৬ লাখ টাকা- যা মোট বরাদ্দের ৬.৬৯ শতাংশ। এছাড়া প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে যে প্রকল্প নেয়া হয়েছিল তার কাজ চলতি অর্থবছরে সমাপ্ত হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক

পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন ৫৮ শতাংশ

আপডেট সময় : ০৫:২৫:৫৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ মার্চ ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কাজ। ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫৮ শতাংশ। জানুয়ারি পর্যন্ত অগ্রগতির এ হার ছিল ৫৭ শতাংশ। এছাড়া প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৫২ শতাংশ।

গত সপ্তাহে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফার্স্ট ট্র্যাক অগ্রগতি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ চিত্র। প্রতিবেদনে মোট ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পদ্মা নদী শাসন কাজ ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ ৯৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাওয়া প্রান্তে অ্যাপ্রোচ সড়কের শতভাগ, সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে, ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

এর মধ্যে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৭৬ কোটি টাকা- যা মোট বরাদ্দের ৫২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। জানুয়ারি পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ছিল ১৪ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা। এছাড়া সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা এ প্রকল্পে চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৫২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সেখান থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ হাজার ২৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম রোববার যুগান্তরকে বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। এজন্য এসব প্রকল্পে বরাদ্দসহ সব কিছুই যাতে স্বাভাবিক থাকে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তাছাড়া বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা থাকলে বৈদেশিক সহায়তা সংশ্লিষ্ট হলে ইআরডি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করে। প্রতিবেদন- এটি নিয়মিত ব্যাপার।

এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলার থাকে না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে মূল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৫৭০ কোটি ১৬ লাখ টাকা- যা মোট বরাদ্দের ৬.৬৯ শতাংশ। এছাড়া প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে যে প্রকল্প নেয়া হয়েছিল তার কাজ চলতি অর্থবছরে সমাপ্ত হবে।