শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন ৫৮ শতাংশ

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:৫৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ মার্চ ২০১৮
  • ৭৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কাজ। ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫৮ শতাংশ। জানুয়ারি পর্যন্ত অগ্রগতির এ হার ছিল ৫৭ শতাংশ। এছাড়া প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৫২ শতাংশ।

গত সপ্তাহে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফার্স্ট ট্র্যাক অগ্রগতি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ চিত্র। প্রতিবেদনে মোট ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পদ্মা নদী শাসন কাজ ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ ৯৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাওয়া প্রান্তে অ্যাপ্রোচ সড়কের শতভাগ, সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে, ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

এর মধ্যে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৭৬ কোটি টাকা- যা মোট বরাদ্দের ৫২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। জানুয়ারি পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ছিল ১৪ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা। এছাড়া সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা এ প্রকল্পে চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৫২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সেখান থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ হাজার ২৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম রোববার যুগান্তরকে বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। এজন্য এসব প্রকল্পে বরাদ্দসহ সব কিছুই যাতে স্বাভাবিক থাকে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তাছাড়া বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা থাকলে বৈদেশিক সহায়তা সংশ্লিষ্ট হলে ইআরডি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করে। প্রতিবেদন- এটি নিয়মিত ব্যাপার।

এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলার থাকে না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে মূল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৫৭০ কোটি ১৬ লাখ টাকা- যা মোট বরাদ্দের ৬.৬৯ শতাংশ। এছাড়া প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে যে প্রকল্প নেয়া হয়েছিল তার কাজ চলতি অর্থবছরে সমাপ্ত হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন ৫৮ শতাংশ

আপডেট সময় : ০৫:২৫:৫৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ মার্চ ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কাজ। ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫৮ শতাংশ। জানুয়ারি পর্যন্ত অগ্রগতির এ হার ছিল ৫৭ শতাংশ। এছাড়া প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৫২ শতাংশ।

গত সপ্তাহে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফার্স্ট ট্র্যাক অগ্রগতি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ চিত্র। প্রতিবেদনে মোট ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পদ্মা নদী শাসন কাজ ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ ৯৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাওয়া প্রান্তে অ্যাপ্রোচ সড়কের শতভাগ, সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে, ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

এর মধ্যে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৭৬ কোটি টাকা- যা মোট বরাদ্দের ৫২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। জানুয়ারি পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ছিল ১৪ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা। এছাড়া সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা এ প্রকল্পে চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৫২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সেখান থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ হাজার ২৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম রোববার যুগান্তরকে বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। এজন্য এসব প্রকল্পে বরাদ্দসহ সব কিছুই যাতে স্বাভাবিক থাকে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তাছাড়া বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা থাকলে বৈদেশিক সহায়তা সংশ্লিষ্ট হলে ইআরডি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করে। প্রতিবেদন- এটি নিয়মিত ব্যাপার।

এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলার থাকে না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে মূল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৫৭০ কোটি ১৬ লাখ টাকা- যা মোট বরাদ্দের ৬.৬৯ শতাংশ। এছাড়া প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে যে প্রকল্প নেয়া হয়েছিল তার কাজ চলতি অর্থবছরে সমাপ্ত হবে।