মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

পেঁয়াজের দাম কমেছে, লেবুর হালি ৪০-৬০ টাকা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:১৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ মার্চ ২০১৮
  • ৮০০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে চড়া পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোয় দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। মাছ-মাংস, সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও লেবুর দাম ছিল আকাশছোঁয়া। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হয়েছে ৪০-৬০ টাকায়। শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

গত সপ্তাহে যে দেশি পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, তা শুক্রবার ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একই অবস্থা আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের। প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪৫ টাকায়, গত সপ্তাহে এ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪৫-৫৫ টাকায়। গত নভেম্বরে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছিল। আদা-রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।

শীতকালীন সবজির দাম স্থিতিশীল ছিল। পাকা টমেটো প্রতি কেজি ১০-১৫ টাকা, ক্ষীরা ৪০ টাকা, শালগম ২০-২৫ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, আলু ১৬-২০ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। লালশাক, পালংশাক ও ডাঁটাশাক ৩ আঁটি ২০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, এবার সবজির উৎপাদন ফলন ভালো হয়েছে। তাই সরবরাহ বেশি। বাজারে লাউ ও টমেটোর সরবরাহ বেড়েছে। যে কারণে আগের সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কম। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম সব থেকে বেশি কমেছে লাউয়ের। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে এখন লাউ বিক্রি হয়েছে। যদিও খাবারের স্বাদ বাড়াতে সহায়ক লেবুর দাম ছিল আকাশছোঁয়া। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হয়েছে ৪০-৬০ টাকায়। শান্তিনগরের কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোকলেছুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম বাড়েনি। বরং দাম কিছুটা কমেছে। তবে আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজি যেমন পটোলের দাম তুলনামূলক বেশি। মাছ ও মাংসের দামও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, টেংরা ৩৫০-৪০০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। মাংসের মধ্যে গরুর মাংস ৪৫০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস আকারভেদে ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

পেঁয়াজের দাম কমেছে, লেবুর হালি ৪০-৬০ টাকা

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:১৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ মার্চ ২০১৮

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে চড়া পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোয় দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। মাছ-মাংস, সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও লেবুর দাম ছিল আকাশছোঁয়া। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হয়েছে ৪০-৬০ টাকায়। শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

গত সপ্তাহে যে দেশি পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, তা শুক্রবার ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একই অবস্থা আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের। প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪৫ টাকায়, গত সপ্তাহে এ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪৫-৫৫ টাকায়। গত নভেম্বরে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছিল। আদা-রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।

শীতকালীন সবজির দাম স্থিতিশীল ছিল। পাকা টমেটো প্রতি কেজি ১০-১৫ টাকা, ক্ষীরা ৪০ টাকা, শালগম ২০-২৫ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, আলু ১৬-২০ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। লালশাক, পালংশাক ও ডাঁটাশাক ৩ আঁটি ২০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, এবার সবজির উৎপাদন ফলন ভালো হয়েছে। তাই সরবরাহ বেশি। বাজারে লাউ ও টমেটোর সরবরাহ বেড়েছে। যে কারণে আগের সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কম। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম সব থেকে বেশি কমেছে লাউয়ের। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে এখন লাউ বিক্রি হয়েছে। যদিও খাবারের স্বাদ বাড়াতে সহায়ক লেবুর দাম ছিল আকাশছোঁয়া। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হয়েছে ৪০-৬০ টাকায়। শান্তিনগরের কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোকলেছুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম বাড়েনি। বরং দাম কিছুটা কমেছে। তবে আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজি যেমন পটোলের দাম তুলনামূলক বেশি। মাছ ও মাংসের দামও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, টেংরা ৩৫০-৪০০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। মাংসের মধ্যে গরুর মাংস ৪৫০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস আকারভেদে ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।