শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

জলাবদ্ধতা নিরসন না করে যেন আমার মৃত্যু না হয় : আবদুচ ছালাম

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:৫৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

বিপ্লব নাথ (চট্টগ্রাম) : চাক্তাই হতে কালুরঘাট পর্যন্ত কর্ণফুলীর তীরে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ ও খাল খনন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প সমুহের বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টি লক্ষে প্রকল্প আওতাভুক্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনসাধারণের সাথে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় ও উঠান বৈঠক পরিচালনা করছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
তারই ধারাবাহিকতার কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রবিবার ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডিএ বোর্ড সদস্য কেবিএম শাহজাহান। হাজি মুসলিম খান সওদাগরের বাড়ীর উঠানে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল মান্নান ও জসিম উদ্দিন।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক আজিজ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সকল সংস্থাকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। আমাদের সবাইকে একটু ধর্য্য ধারণ করতে হবে। একদিনে এ সমস্যার সমাধান হবে না। তবে আগামী এক বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা সমস্যার দৃশ্যমান পরিবর্তন আপনারা দেখতে পাবেন। সবাই দোয়া করবেন, যেন জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান না করে আল্লাহ আমার মৃত্যু না করেন।
তিনি বলেন, বাকলিয়াবাসী অত্যান্ত সরল-সহজ মানুষ। এ সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেকেই বাকলিয়াবাসিদের বার বার ধোঁকা দিয়েছে। আমি সে ধোঁকার রাজনীতি করি না। আমি কথা কম বলি, কাজ করি বেশি। তার প্রমাণ আপনারা ইতিমধ্যে পেয়েছেন। আল্লাহর রহমতে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজেও সেটার প্রমাণ পাবেন।
চট্টগ্রাম অভিবাবকহীন নয় জানিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাধাগ্রস্থ করতে ইতিমধ্যে ভূমিদস্যুরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যা কোনভাবেই চট্টগ্রামাবাসীর জন্য কার্ম্য নয়। ভূমিদস্যুদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। চট্টগ্রাম অভিভাবকহীন নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোদ চট্টগ্রামের অভিভাবক। তিনি জলাবদ্ধতার প্রকপ দেখে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প অনুমোদন করেছেন।
এলাকাবাসীকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে আবদুচ ছালাম বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন শুধু সরকারের একার কাজ নয়। আপনাদেরও সচেতন হতে হবে। আপনারা যত্রতত্র-খালের মধ্যে আবর্জনা ফেলবেন না। খালের পাড় দখল করবেন না। অবৈধ দখলে থাকলে আল্লাহর ওয়াস্তে দখলমুক্ত করে দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

জলাবদ্ধতা নিরসন না করে যেন আমার মৃত্যু না হয় : আবদুচ ছালাম

আপডেট সময় : ০৮:২২:৫৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিপ্লব নাথ (চট্টগ্রাম) : চাক্তাই হতে কালুরঘাট পর্যন্ত কর্ণফুলীর তীরে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ ও খাল খনন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প সমুহের বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টি লক্ষে প্রকল্প আওতাভুক্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনসাধারণের সাথে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় ও উঠান বৈঠক পরিচালনা করছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
তারই ধারাবাহিকতার কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রবিবার ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডিএ বোর্ড সদস্য কেবিএম শাহজাহান। হাজি মুসলিম খান সওদাগরের বাড়ীর উঠানে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল মান্নান ও জসিম উদ্দিন।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক আজিজ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সকল সংস্থাকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। আমাদের সবাইকে একটু ধর্য্য ধারণ করতে হবে। একদিনে এ সমস্যার সমাধান হবে না। তবে আগামী এক বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা সমস্যার দৃশ্যমান পরিবর্তন আপনারা দেখতে পাবেন। সবাই দোয়া করবেন, যেন জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান না করে আল্লাহ আমার মৃত্যু না করেন।
তিনি বলেন, বাকলিয়াবাসী অত্যান্ত সরল-সহজ মানুষ। এ সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেকেই বাকলিয়াবাসিদের বার বার ধোঁকা দিয়েছে। আমি সে ধোঁকার রাজনীতি করি না। আমি কথা কম বলি, কাজ করি বেশি। তার প্রমাণ আপনারা ইতিমধ্যে পেয়েছেন। আল্লাহর রহমতে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজেও সেটার প্রমাণ পাবেন।
চট্টগ্রাম অভিবাবকহীন নয় জানিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাধাগ্রস্থ করতে ইতিমধ্যে ভূমিদস্যুরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যা কোনভাবেই চট্টগ্রামাবাসীর জন্য কার্ম্য নয়। ভূমিদস্যুদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। চট্টগ্রাম অভিভাবকহীন নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোদ চট্টগ্রামের অভিভাবক। তিনি জলাবদ্ধতার প্রকপ দেখে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প অনুমোদন করেছেন।
এলাকাবাসীকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে আবদুচ ছালাম বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন শুধু সরকারের একার কাজ নয়। আপনাদেরও সচেতন হতে হবে। আপনারা যত্রতত্র-খালের মধ্যে আবর্জনা ফেলবেন না। খালের পাড় দখল করবেন না। অবৈধ দখলে থাকলে আল্লাহর ওয়াস্তে দখলমুক্ত করে দেন।