লামা প্রতিনিধি: সবচেয়ে বড় উৎসব শ্রী শ্রী সার্বজনীন শারদ উৎসব বা দুর্গাপূজা। ২৫ সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই পূজা। এবার বান্দরবানের লামা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ৮টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। এর মধ্যে পৌর এলাকায় ২টি, লামা সদর ইউনিয়নে ১টি, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৪টি, আজিজনগর ইউনিয়নে ১টি মন্ডপে পূর্জা অনুষ্ঠিত হবে।
ইতিমধ্যে এসব মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে রং তুলী ও সাজ সজ্জার কাজ। এদিকে উৎসব যেন সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে পালন করতে পারে; সেজন্য মন্ডপগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আনসার পুলিশ বাহিনী।
লামা উপজেলা দূর্গা পুজা উদ্যাপন পরিষদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিজয় আইচ বলেন, এবছর মা দুর্গা আসছেন নৌকায় চড়ে, আর গমন করবেন ঘোড়ায় চড়ে। মাকে বরণ করার জন্য উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপ প্র¯‘িত শেষ পর্যায়ে। প্রতিমা তৈরি করতে আমরা প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার বাজেট ঘোষনা করেছি।
গত বছর সরকারিভাবে ৫০০ কেজি চাউল বরাদ্দ পাওয়া গেলেও এবারে এখনো কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় দুর্গা উৎসব হবে লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দির মন্ডপে। হাজারো মানুষের সমাগম হবে আমাদের এই মন্দিরে, তাই সব কিছু মাথায় রেখে সুষ্ঠভাবে উৎসব পালনের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সবক’টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন রং তুলী ও সাজ সজ্জার কাজ চলছে।
এদিকে লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা হরি মন্দিরের দূর্গা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি সাধন চন্দ্র সেন বলেন, আমরা প্রতিবারের মত এবারও সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুসারে প্রতিমা তৈরি করেছি। আমাদের প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। মন্দিরের সাজসজ্জার আর প্রতিমাকে সাজানোর কাজ বাকি রয়েছে। আশা করছি সার্বজনীন এই উৎসব সুষ্ঠভাবে উদ্যাপন করতে পারবো। একই কথা জানালেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গুলিস্তান বাজার, ইয়াংছা, পাগলির আগা, কমিউনিটি সেন্টার, আজিজনগর ইউনিয়নের তেলুনিয়া ও পৌরসভার চম্পাতলী মন্ডপ কমিটির সদস্যরা।
পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশ বলেন, আমরা প্রতিবারের মত সামাজিক রুপে প্রতিমাকে তৈরি করেছি। আমাদের কাজ প্রায় শেষ মুহূর্তে, বাকি আছে প্রতিমাকে রঙ করা আর কিছু সাজসজ্জার কাজ। প্রতিবারের মত এবারো নবমীর দিন প্রসাদ বিতরণ করা হবে।
লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন জানান, দুর্গাপূজা হচ্ছে সর্বজনীন উৎসব। এটি যদিও হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, তবে উৎসব হচ্ছে সকলের। বিভিন্ন সম্প্রদায় ও জাতির বসবাস, সকলে মিলে প্রতিবছর আমরা সুষ্ঠভাবে এই উৎসব উদ্যাপন করে আসছি। তাই আশা করি এবারও আমরা সকলে মিলেমিশে এ উৎসব উদ্যাপন করতে পারবো।
লামা থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব যেন সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে পালন করতে পারে সেজন্য মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু বলেন, প্রতি বছরের ন্যয় এবছরও সরকারি ভাবে দূর্গা পুজা উৎসব পালনের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হবে। তবে এখনো বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দের জন্য ইতিমধ্যে মন্ডপগুলোর তালিকা ও আবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে অনুদান প্রদান করা হবে মন্ডপগুলোতে