রিপোর্ট : ইমাম বিমান: পূর্ব ঘোষনা ছাড়া জাতীয় পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ সাংবাদিক ও স্টাফদের ক্ষতিপুরনের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম
( বি এম এস এফ ) । শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় কমিটির এক অালোচনা সভা শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবাদ ও ক্ষতিপুরেন দাবী জানান। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে প্রকাশিত জাতীয় ” দৈনিক সকালের খবর ” পত্রিকাটি কোন কারন ব্যতিরেকে হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পত্রিকাটির মালিক পক্ষ পত্রিকাটি বন্ধ করার ঘোষনা করেন।
শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় কমিটির এক বিবৃতিতে বি এম এস এফ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারন সম্পাদক অাহমেদ অাবু জাফর জানান, গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পত্রিকাটির মালিক পক্ষ পত্রিকা অফিসে গিয়ে কোন নোটিশ বা পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই বন্ধের নির্দেশ দেন। হঠাৎ করে প্রতিকাটি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষনায় দেশের প্রায় পাঁচ শতাধিক সাংবাদকর্মী ও স্টাফরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। অামরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি শুধু তাই নয় পত্রিকাটি পুনরায় চালু রাখার ব্যাপারে মালিক পক্ষের দৃষ্টি অাকর্শন করছি।
পত্রিকা বন্ধের বিষয়ে প্রতিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কমলেশ রায় এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন অাপতত প্রত্রিকাটির প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ রেখে অনলাইন ভার্সন চালু থাকবে। ওয়েজবোর্ড নিয়ন কানুন মেনে সাংবাদিকদের দেনা পাওনা মিটিয়ে দেয়া হবে।
বি এম এস এফ’র সাধারন সসম্পাদক অাহমেদ অাবু জাফর এ বিষয়ে উদ্দ্যেগ প্রকাশ করে অারো বলেন, নোটিশ ব্যতিরেকে জাতীয় ” দৈনিক ইনকিলাব ” পত্রিকার ২১সাংবাদিককে ছাটাইয়ে বিএমএসএফ’র উদ্বেগ প্রকাশ। হঠাৎ করে সাংবাদিকদের না জানিয়ে বিভিন্ন জেলা উপজেলা প্রতিনিধিদের ” দৈনিক ইনকিলাব ” পত্রিকার ২১ জন সাংবাদিক ছাটাইয়ের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ” বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ” (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। মিডিয়া কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের বাদবিচার না করে এই ধরনের অযৌক্তিক পত্রিকা বন্ধ ও অকারনে নোটিশ ব্যতিরেকে সাংবাদিক ছাটাই মেনে নেয়া যায়না। কোন হোটেল অথবা মুদি দোকানের শ্রমিকদেরকেও এভাবে ছাটাই করতে পারেনা কিংবা করেও না। কিন্তু পত্রিকার কর্মকর্তারা তাদের পত্রিকার চালিকা শক্তি সাংবাদিকদের ” ওয়ান টাইম ” ব্যবহারিক পন্য দ্রব্যের মত ব্যবহার করছে। প্রতিনিয়ত এভাবে বিভিন্ন মিডিয়া হাউস গুলো থেকে নানা অজুহাতে সাংবাদিক ছাটাই করা হচ্ছে। দেশের শ্রমজীবী মানুষের মত সাংবাদিক পেশায় নিয়োজিত মফস্বল সাংবাদিক সহ দেশের সাংবাদিকেদের শ্রমের বিনিময় তারা কি বা কতটুকুই পাচ্ছে, অথচ সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের জন্য সরকারের নানা অনুদান বরাদ্ধ, কল্যানের কথা চিন্তা করলেও সাংবাদিকদের জন্য কোন সরকারই স্বাধীনতার ৪৬ বছরে চিন্তা করেনি।
অামরা অাশা করছি দেশে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের পেশাগত কাজের স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য কোন নোটিশ ব্যতিরেকে সাংবাদিক ছাটাই, সাংবাদিক নির্যাতন, হামলা বন্ধে যুগোপযোগী অাইন প্রনয়ন, নিয়োগ নীতি মালা প্রনয়ন ও হত্যার হুমকি, মিথ্যা মামলা সহ ১৪ দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবী জানান। অামাদের দেশে সাংবাদিক সুরক্ষায় দেশে কোন অাইন না থাকায় বর্তমান সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকের নির্যাতন, নিপিড়ন, মিথ্যা মামলা সহ হত্যার হুমকি বেড়েই চলছে।