রবিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল Logo সুদানের আবেই শান্তিরক্ষা মিশনের ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্যের রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ীতে Logo ৪৭৫ কোটি টাকা ‘জলে’: খনন শেষ হতেই ভরাট সাতক্ষীরার নদী-খাল ​জলাবদ্ধতা কাটেনি, উল্টো সেচ সংকটে কৃষক ও ঘেরমালিকরা ​ Logo খুবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স ও পিএইচডি ভর্তি শুরু Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo ইবিতে শহীদ ওসমান হাদি ও দীপু দাশ স্মরণে শান্তি প্রার্থনা

লামায় সবজী বাজারে বন্যার প্রভাব ঃ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম ঃ উর্ধ্ব মূল্যে গ্রাহকদের ভোগান্তি

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:২১:৪৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

 লামা প্রতিনিধি ঃ  পাহাড়ী  ঢলে  সৃষ্ট  সাম্প্রতিক  একাধিক  বন্যার  বিরুপ প্রভাব পড়েছে  লামার সবজী বাজারে। প্রতিটি তরি-তরিকারির  উর্ধ্ব  মূল্যের  কারনে  গ্রাহকরা  ভোগান্তিতে  পড়েছে। বন্যার প্রভাবে বাজারে সবজীর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সবজীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা  জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, প্রবল বর্ষনের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার লামা পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হলে কৃষকের  আবাদী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিশেষ করে মৌসুমী তরিতরকারি ও শাক-সবজীর ক্ষেত পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পলি পড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। যার বিরুপ  প্রভাব পড়েছে  উপজেলার বিভিন্ন হাঁট বাজারে।স্থানীয়রা  জানিয়েছেন, লামা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক  বছর  গুলোতে  ব্যাপক হারে তামাক চাষের  কারনে সবজী চাষ আনুপাতিক  হারে কম হচ্ছে।

চলতি  বছর যতটুকু হয়েছে  তার বেশির ভাগই বন্যার কারনে  ক্ষতির সম্মুক্ষিন। লামার  পাহাড়ে কিছু সবজী  উৎপাদন হলেও বেশির ভাগই বিক্রি হচ্ছে চকরিয়ার আড়তদারের মাধ্যমে। যার কারনে এসকল সবজীর  সরাসরি সুফল পাচ্ছেনা  স্থানীয়রা। স্থানীয়  কৃষকেরা  জানিয়েছেন, বন্যার  দখল কাটিয়ে তারা নতুন  করে আবারো সবজী আবাদ শুরু করেছেন। তবে তাদের উৎপাদিত সবজী বাজারে আসতে আরো কিছু দিন সময় লাগবে।

সরজমিন পরিদর্শনকালে  বাজারের  সবজী ব্যবসায়ীরা  জানিয়েছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সবজীর দাম উর্ধ্বমুখি। লামা বাজারের সবজী ব্যবসায়ী  মোঃ ওহাব জানান, বর্তমানে স্থানীয়ভাবে  উৎপাদিত তেমন কোন সবজী বাজারে আসছেনা। চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে লামায় সবজী এনে বিক্রি করতে হচ্ছে যার কারনে দাম স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি।

লামা কৃষি অফিসের  উপ-সহকারি  উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা রতন কুমার দে জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলার  বিভিন্ন এলাকায়  ৮০ হেক্টর জমির  গ্রীষ্মকালিন শাক- সবজী  সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকেরা নতুন করে আবার সবজী আবাদ শুরু  করেছেন।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে  দেখা গেছে  লামা বাজারে বরবটি-৬০ টাকা, ডেড়শ-৫০ টাকা, বেগুন-৪০ টাকা, কাচা মরিচ-১৪০ টাকা, কচুর ছড়া- ৩৫ টাকা, ঝিঙে- ৪০ টাকা, কাকরল- ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা- ৩৫ টাকা, করলা- ৫০ টাকা, শসা-৫০ টাকা, পটল-৬০ টাকা, গাজর-১১০ টাকা এবং টমেটো- ১৬০ টাকা এবং  দরে বিক্রি হচ্ছে। লামা বাজারে সবজি ক্রয় করতে আসা একটি বেসরকারি সংস্থার চাকুরিজীবি  বশিরুল আলম জানান,  বন্যার পর থেকে লামা বাজারে সবজীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাধারণ ক্রেতা হিসেবে আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য ও ভোগান্তির কারন হয়ে পড়েছে।

এদিকে, সাধারণ ক্রেতারা  অভিযোগ  করে  জানিয়েছেন,  সবজী  বাজার কেন্দ্রীক একটি  সিন্ডিকেট রয়েছে। এ সিন্ডিকেট  তাদের নিজস্ব দোকান ও অবস্থান থাকার পরেও সাপ্তাহিক  হাঁটের  দিন গুলোতে  বাজারের সড়কের  পাশে  তাদের পন্যের  একাধিক  পসরা সাজিয়ে বসে। যার কারনে দূর-দুরান্ত থেকে  আসা  প্রান্তিক কৃষকেরা সরাসরি তাদের উৎপাদিত পন্য বাজারে বসে গ্রাহকের নিকট বিক্রি করতে পারেনা।  বাজারে এসে বসার জায়গা না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে দিতে হয়। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের  মাধ্যমে নিজেদের সুবিধামত  দাম আদায় করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে

লামায় সবজী বাজারে বন্যার প্রভাব ঃ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম ঃ উর্ধ্ব মূল্যে গ্রাহকদের ভোগান্তি

আপডেট সময় : ০৭:২১:৪৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০১৭

 লামা প্রতিনিধি ঃ  পাহাড়ী  ঢলে  সৃষ্ট  সাম্প্রতিক  একাধিক  বন্যার  বিরুপ প্রভাব পড়েছে  লামার সবজী বাজারে। প্রতিটি তরি-তরিকারির  উর্ধ্ব  মূল্যের  কারনে  গ্রাহকরা  ভোগান্তিতে  পড়েছে। বন্যার প্রভাবে বাজারে সবজীর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সবজীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা  জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, প্রবল বর্ষনের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার লামা পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হলে কৃষকের  আবাদী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিশেষ করে মৌসুমী তরিতরকারি ও শাক-সবজীর ক্ষেত পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পলি পড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। যার বিরুপ  প্রভাব পড়েছে  উপজেলার বিভিন্ন হাঁট বাজারে।স্থানীয়রা  জানিয়েছেন, লামা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক  বছর  গুলোতে  ব্যাপক হারে তামাক চাষের  কারনে সবজী চাষ আনুপাতিক  হারে কম হচ্ছে।

চলতি  বছর যতটুকু হয়েছে  তার বেশির ভাগই বন্যার কারনে  ক্ষতির সম্মুক্ষিন। লামার  পাহাড়ে কিছু সবজী  উৎপাদন হলেও বেশির ভাগই বিক্রি হচ্ছে চকরিয়ার আড়তদারের মাধ্যমে। যার কারনে এসকল সবজীর  সরাসরি সুফল পাচ্ছেনা  স্থানীয়রা। স্থানীয়  কৃষকেরা  জানিয়েছেন, বন্যার  দখল কাটিয়ে তারা নতুন  করে আবারো সবজী আবাদ শুরু করেছেন। তবে তাদের উৎপাদিত সবজী বাজারে আসতে আরো কিছু দিন সময় লাগবে।

সরজমিন পরিদর্শনকালে  বাজারের  সবজী ব্যবসায়ীরা  জানিয়েছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সবজীর দাম উর্ধ্বমুখি। লামা বাজারের সবজী ব্যবসায়ী  মোঃ ওহাব জানান, বর্তমানে স্থানীয়ভাবে  উৎপাদিত তেমন কোন সবজী বাজারে আসছেনা। চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে লামায় সবজী এনে বিক্রি করতে হচ্ছে যার কারনে দাম স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি।

লামা কৃষি অফিসের  উপ-সহকারি  উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা রতন কুমার দে জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলার  বিভিন্ন এলাকায়  ৮০ হেক্টর জমির  গ্রীষ্মকালিন শাক- সবজী  সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকেরা নতুন করে আবার সবজী আবাদ শুরু  করেছেন।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে  দেখা গেছে  লামা বাজারে বরবটি-৬০ টাকা, ডেড়শ-৫০ টাকা, বেগুন-৪০ টাকা, কাচা মরিচ-১৪০ টাকা, কচুর ছড়া- ৩৫ টাকা, ঝিঙে- ৪০ টাকা, কাকরল- ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা- ৩৫ টাকা, করলা- ৫০ টাকা, শসা-৫০ টাকা, পটল-৬০ টাকা, গাজর-১১০ টাকা এবং টমেটো- ১৬০ টাকা এবং  দরে বিক্রি হচ্ছে। লামা বাজারে সবজি ক্রয় করতে আসা একটি বেসরকারি সংস্থার চাকুরিজীবি  বশিরুল আলম জানান,  বন্যার পর থেকে লামা বাজারে সবজীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাধারণ ক্রেতা হিসেবে আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য ও ভোগান্তির কারন হয়ে পড়েছে।

এদিকে, সাধারণ ক্রেতারা  অভিযোগ  করে  জানিয়েছেন,  সবজী  বাজার কেন্দ্রীক একটি  সিন্ডিকেট রয়েছে। এ সিন্ডিকেট  তাদের নিজস্ব দোকান ও অবস্থান থাকার পরেও সাপ্তাহিক  হাঁটের  দিন গুলোতে  বাজারের সড়কের  পাশে  তাদের পন্যের  একাধিক  পসরা সাজিয়ে বসে। যার কারনে দূর-দুরান্ত থেকে  আসা  প্রান্তিক কৃষকেরা সরাসরি তাদের উৎপাদিত পন্য বাজারে বসে গ্রাহকের নিকট বিক্রি করতে পারেনা।  বাজারে এসে বসার জায়গা না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে দিতে হয়। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের  মাধ্যমে নিজেদের সুবিধামত  দাম আদায় করে।