যেখানে ৫ বছরের কন্যার বিয়ে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:৫১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আয়নার সামনে দাঁড়ালে বাচ্চাটা কেঁদে উঠত। মাথার চুলগুলো সব এক এক চলে গেছে ক্যান্সারের করাল গ্রাসে। জীবন কী, তা ঠিক করে জানার আগেই মৃত্যুকে জানতে শিখে গেছে পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়েটি। স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা এইলেড প্যাটারসন আসলে দূরারোগ্য নিউরোব্লাস্টোমাতে আক্রান্ত।

একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছে সে। তার চারপাশের প্রিয়জনেরা যেন সেই পরিণতিকে আরও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন। তাই তারা চেয়েছিলেন শেষের সেদিনগুলো এইলেডের ভালো কাটুক, আরো একটু আনন্দে, আরো একটু ভালোবাসায়, ভালোলাগায় কাটুক। আর এইলেড, সে কী চেয়েছিল?

বিয়ে করতে চেয়েছিল পাঁচ বছরের মেয়েটি। নিজের প্রিয় বন্ধু বা ছোট্ট প্রেমিক, ছয় বছরের হ্যারিসন গ্রিয়ারকে। সেই চাওয়া মিলে গেল সবার চাওয়াতে। দুই পরিবারের সম্মতিতে, গ্রিয়ারকে সারা জীবনের জন্য পাশে পেল এইলেড। একটা সুন্দর স্বপ্নসন্ধ্যায় এক হলো চার হাত।

হ্যারিসন এর আগে কখনো কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়নি। তাই নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রতিটা মুহূর্ত নতুন ছিল তার কাছে। বিয়ের অনুষ্ঠানেও ছিল অনেক চমক, শুধুমাত্র এইলেডের জন্য। গোলাপী ফ্রকে ছোট্ট পরীর মতো এইলেডকে তার জীবনের গল্প পড়ে শোনান তাঁর মা গেইল প্যাটারসন। সেই গল্পে ছিল একটা অদম্য লড়াই এর কাহিনী। একটা হার না মানা জীবনের আখ্যান, একটা শুরু হয়েই শেষ হতে চলা পথের কথা।

সেই পথ এবার এগোক নতুন পথিককে সঙ্গে নিয়ে। এক সঙ্গে জীবন কাটাক এইলেড আর হ্যারিসন। শুধু মনের কোনো কোণায় পাক খাবে বোধহয় একটাই প্রশ্ন,’ জীবন এত ছোট কেনে’?

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যেখানে ৫ বছরের কন্যার বিয়ে !

আপডেট সময় : ১২:৪১:৫১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আয়নার সামনে দাঁড়ালে বাচ্চাটা কেঁদে উঠত। মাথার চুলগুলো সব এক এক চলে গেছে ক্যান্সারের করাল গ্রাসে। জীবন কী, তা ঠিক করে জানার আগেই মৃত্যুকে জানতে শিখে গেছে পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়েটি। স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা এইলেড প্যাটারসন আসলে দূরারোগ্য নিউরোব্লাস্টোমাতে আক্রান্ত।

একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছে সে। তার চারপাশের প্রিয়জনেরা যেন সেই পরিণতিকে আরও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন। তাই তারা চেয়েছিলেন শেষের সেদিনগুলো এইলেডের ভালো কাটুক, আরো একটু আনন্দে, আরো একটু ভালোবাসায়, ভালোলাগায় কাটুক। আর এইলেড, সে কী চেয়েছিল?

বিয়ে করতে চেয়েছিল পাঁচ বছরের মেয়েটি। নিজের প্রিয় বন্ধু বা ছোট্ট প্রেমিক, ছয় বছরের হ্যারিসন গ্রিয়ারকে। সেই চাওয়া মিলে গেল সবার চাওয়াতে। দুই পরিবারের সম্মতিতে, গ্রিয়ারকে সারা জীবনের জন্য পাশে পেল এইলেড। একটা সুন্দর স্বপ্নসন্ধ্যায় এক হলো চার হাত।

হ্যারিসন এর আগে কখনো কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়নি। তাই নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রতিটা মুহূর্ত নতুন ছিল তার কাছে। বিয়ের অনুষ্ঠানেও ছিল অনেক চমক, শুধুমাত্র এইলেডের জন্য। গোলাপী ফ্রকে ছোট্ট পরীর মতো এইলেডকে তার জীবনের গল্প পড়ে শোনান তাঁর মা গেইল প্যাটারসন। সেই গল্পে ছিল একটা অদম্য লড়াই এর কাহিনী। একটা হার না মানা জীবনের আখ্যান, একটা শুরু হয়েই শেষ হতে চলা পথের কথা।

সেই পথ এবার এগোক নতুন পথিককে সঙ্গে নিয়ে। এক সঙ্গে জীবন কাটাক এইলেড আর হ্যারিসন। শুধু মনের কোনো কোণায় পাক খাবে বোধহয় একটাই প্রশ্ন,’ জীবন এত ছোট কেনে’?