নিউজ ডেস্ক :
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে হিমায়িত ও জীবিত মৎস্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে শুধু চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৮ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৬৪০ কোটি টাকা। যা মোট মাছ রপ্তানির প্রায় ৯১ দশমিক ০৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ২ মাসে মৎস্য রপ্তানিতে ৯ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে ৮ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। যা ল্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম। তবে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ২১ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে জীবিত মাছ রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের ল্যমাত্রার চেয়ে ৭২ দশমিক ৬২ শতাংশ কম। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় ১৩০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এ সময়ে জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২ লাখ মার্কিন ডলার।
বছরের ব্যবধানে জীবিত মাছ রপ্তানি আয় বাড়লেও হিমায়িত মাছ রপ্তানি আয় ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল ৩৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিতে আয়ের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ল্যমাত্রা চেয়ে ৫৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এ খাতে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে চিংড়ি রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে এই সময়ে আয় হয়েছে ৮ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা ল্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৬ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা এ সময়ের ল্যমাত্রার তুলনায় ৩০ দশমিক ৪৮ শতাংশ কম হলে। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ১১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রথম ২ মাসে কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।