নিউজ ডেস্ক:প্রভাব খাটিয়ে একটি বাল্যবিয়ে দিতে এসে ফেঁসে গেছেন ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলার চার চেয়ারম্যান। এ সময় তাঁরা হরিণাকু-ু উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। এ ঘটনায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দ-িত চেয়ারম্যানেরা হলেন হরিণাকু-ু উপজেলার ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নেতা সমির উদ্দিন (৫৪), ফলসি ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান (৫৬), চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা (৫৮) ও দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বুড়ো (৫৭)। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার ঝাউদিয়া এলাকায়।
কুষ্টিয়ার ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ জানান, গত বুধবার দুপুরে ইবি থানার ঝাউদিয়া গ্রামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হলে ভিআইপি স্টাইলে ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়ি নিয়ে ওই চার ইউপি চেয়ারম্যানসহ হরিণাকু-ুর কুলবাড়িয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে বর রাসল বরযাত্রী নিয়ে উপস্থিত হন। এ সময় বাল্যবিবাহতে বাধা দেওয়া হলে নানা রকম প্রভাব খাটান আওয়ামী লীগ সমর্থিত ওই চার চেয়ারম্যান। তাঁরা বিয়ে দিতে নাছোড়বান্দা।
পরে সেখানে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে ওই চার চেয়ারম্যানকে ১০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও মেয়ের পিতা মিলন বিশ্বাস এবং মেয়ের খালাত ভাই মিনারুল হোসেনকে চার দিনের কারাদ- প্রদান করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী। ঝাউদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কেরামত আলী খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
দ-িত চেয়ারম্যানদের মধ্যে দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বুড়ো জানান, ‘আমরা তো বিষয়টি জানতাম না। কারণ বিয়ে তো আগেই কোর্ট থেকে হয়ে গেছে। বরযাত্রী হিসেবে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ি।’ তবে তিনি আর্থিক জরিমানার কথা অস্বীকার করেন।