স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ পাগলাকানায় কাঠাল বাগান এলাকার জে কে মৌ চৌধুরী। বয়স ৪৫ বছর। ঝিনাইদহ শহরে নিজেকে মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, এ্যাডভোকেট, আবার এনজিও কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হন। মুলত তার পেশা সমাজের বিত্তবানদের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতানো। সমাজের অনেকেই তাকে মক্ষিরানি বা নাইটকুইন হিসেবেও চিনে। সারাদিন ভূয়া পরিচয় দিয়ে র্যালি, আলোচনা সভা, মানববন্ধনের ব্যানারে গিয়ে হাজির হন। অনেকে তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে মামলার হুমকি দেয়। এবার তার রোষানলে পড়েছেন ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি। মৌ চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা নেওয়ায় ওসি এমদাদুল হক শেখের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে অপবাদ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটে গিয়ে ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এছাড়াও ফেসবুকে ওসির বিরুদ্ধে নানান অপবাদ দিচ্ছেন। ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, তিনি ১ বছরের বেশি সময় ঝিনাইদহ সদর থানায় সুনামের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এ পর্যন্ত একবার মৌ চৌধুরী থানায় এসেছিল নিজেকে পরিচয় দিতে। এছাড়া কোনদিন তাকে থানায় দেখা যায়নি। মৌ চৌধুরীকে ভালো ভাবে চেনেও না তিনি। ওসি জানান, চলতি মাসের ২১ তারিখের ঝিনাইদহ শহরের ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে তার স্ত্রী বিউটি আক্তার, মৌ চৌধুরীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন। থানায় মামলা গ্রহণের পর মৌ চৌধুরী ওসির বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। ওসি বলেন, থানায় প্রতিটি নাগরিকের মামলা দেওয়ার অধিকার আছে। কেউ যদি মামলা দেয় পুলিশ সেই মামলা নিতে বাধ্য। অভিযোগকারি আনোয়ার হোসেন থানায় মামলা করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী আমি মামলা নিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের অপরাধ ঢাকতে কথিত মানবাধিকার কর্মী মৌ ও মামলার আসামী বিউটি আক্তার আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৌ চৌধুরী হেজবুত তাওহিদের একজন সদস্য। বিভিন্ন সময় হেজবুত তাওহীদের প্রচারপত্র ও লিফলেট এবং পত্রিকা বিক্রি করতেন। এছাড়াও তার একাধিক স্বামী রয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে আসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার সময় এলাকাবাসী ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছিলেন।