সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন’- অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য যে এবার দিনে দুপুরে ১৮ বছরের এক লম্পট ৭ মাস বয়সী দুধের শিশুকে ধর্ষণ করেছে।
আশংকাজনক অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবিশ্বাস্য, বর্বরোচিত, ন্যাক্কারজনক ওই ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের দুর্গম যমুনার জগতলা চর এলাকায়।
এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ লম্পট, ধর্ষককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।
শাহজাদপুর থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল পূর্ব জগতলা গ্রামের আব্দুল খালেকের ৭ মাসের শিশুকণ্যা ঘরে ঘুমাচ্ছিলো।
এ সময় শিশুটির বাবা ও মা বাড়ির বাইরে থাকায় একই গ্রামের শামছুলের লম্পট ছেলে উজ্জ্বল (১৮) ওরফে পচাঁ তাদের ঘরে ঢুকে ঘুমন্তবস্থায় থাকা দুধের শিশুকে ধর্ষণ করে।
এসময় শিশুটির কান্নায় তার মা এগিয়ে আসলে লম্পট ধর্ষক উজ্জ্বল শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্তবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে শিশুর শারীরিক অবস্থার চরমাবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আব্দুল খালেক বাদী হয়ে গতকাল রোববার লম্পট উজ্জ্বলকে আসামী করে শাহজাদপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাজা গোলাম কিবরিয়া ও পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলামের নির্দেশে ধর্ষককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলামের সাথে গণমাধ্যমকর্মীরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এদিকে, এ খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং অসহায় দরিদ্র পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
এ ঘটনাটি মধ্যযুগীয় বর্বরোতাকে রীতিমতো হার মানিয়েছে। এ খবর দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।