নিউজ ডেস্ক:
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ম্যারিকো লিমিটেড চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন ২০১৭) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ১৫ টাকা ৭১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ১৭ পয়সা। একই সঙ্গে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের (এমবিএল) ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সৌগত গুপ্ত সভাপতিত্ব করেন। এ সময় ম্যারিকো বাংলাদেশের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নবীন পান্ডে, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে সঞ্জয় মিশ্রা, ভিভেক কারভি ও স্বতন্ত্র পরিচালক রোকিয়া আফজাল রহমান, মাসুদ খান ও আশরাফুল হাদিসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এজিএম থেকে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৫ টাকা করে) অনুমোদন করা হয়। এর আগে কোম্পানির বিগত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অন্তর্বর্তীকালিন ৪৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৪৫ টাকা) ঘোষণা ও বিতরণ করা হয়। ফলে চলতি ২০১৭ সালের ৩১ মার্চে সমাপ্ত অর্থবছরে ম্যারিকো বাংলাদেশের অনুমোদিত মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০০ শতাংশ (প্রতি শেয়ারে ৫০০ টাকা)।
সভায় সৌগত গুপ্ত কোম্পানির কার্যক্রমের সফলতা তুলে ধরে বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যতদিন আমরা বৃদ্ধির পাশাপাশি নির্মাণের দক্ষতার ওপর নজর রাখি, ফলাফলগুলি অনুসরণ করবে। টেকসই মুনাফা অর্জনের জন্য সঠিক কাঠামো এবং ব্র্যান্ড স্থাপত্য নিশ্চিত করা অপরিহার্য এবং আমরা তা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি জানান, আলোচ্য অর্থবছরে ম্যারিকো বাংলাদেশ কর-পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে ১৪৪ কোটি টাকা। আর মোট আয় হয়েছিল ৬৯২ কোটি টাকা। আলোচ্য বছরে ম্যারিকো বাংলাদেশের শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএসের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৫.৭২ টাকা।
সভায় জানানো হয়, বিগত অর্থবছরে ম্যারিকো বাংলাদেশ কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ও ডিউটি বা শুল্ক বাবদ সরকারের কোষাগারে মোট ১৯৫ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। আলোচ্য বছরে ঢাকা আহসানিয়া মিশনের (ডিএএম) সহযোগিতায় ম্যারিকো বাংলাদেশ তার সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর কার্যক্রমও অব্যাহত রাখে। এর আওতায় ৩ হাজারেরও বেশি সুবিধা বঞ্চিত ও স্কুলে না যাওয়া শিশুকে বিনামূল্যে শিক্ষার সুযোগ করে দিতে ৭৫টি চিল্ড্রেন লার্নিং সেন্টার (সিএলসি) স্থাপন করেছে আইসিএসবি কর্তৃক প্রদত্ত করপোরেট গভর্নেন্সে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য কোম্পানি ‘সিলভার পুরস্কার’ অর্জন করেছে এবং আইসিএমএবি শ্রেষ্ঠ করপোরেট পুরস্কার-২০১৬ অর্জন করেছে ‘মেরিট সার্টিফিকেট’।