নিউজ ডেস্ক:
আদিম মানুষের বিস্ময়কর বুদ্ধি এবং সেই সঙ্গে অসাধারণ প্রযুক্তি ক্ষমতা ছিল। আর তাদের যদি সত্যি এ ধরণের ক্ষমতা না থাকতো তাহলে মানবসভ্যতা আজ এই পর্যায়ে এসে পৌঁছাত না। সভ্যতার ইতিহাসে যদি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিষটি আবিষ্কার হয়েছিল সেটি ছিল চাকা আর আগুন। সেই সঙ্গে তাদের আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন আবিষ্কার ছিল দড়ি। আদিম যুগের মানুষের কাছে চাকা ও আগুনের পাশাপাশি ‘দড়ি’ও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজ থেকে ৪০ হাজার বছর আগে মানুষ দড়ি তৈরি করতে শিখেছিল। কীভাবে তারা এই দড়ি তৈরি করতে পেরেছিল সেটাই জানা গেল সাম্প্রতিক একটি গবেষণায়। তুবিনগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নিকোলাস কনরাড এবং তার সহ-গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন একটি যন্ত্রাংশ। হাতির দাঁতের তৈরি এই যন্ত্রাংশটি ২০.৪ সেন্টিমিটার লম্বা এবং সেটিতে চারটি ফুটো রয়েছে ৭ মিমি এবং ৯ মিমি ডায়ামিটারের। প্রত্যেকটি ফুটোই নিখুঁত করে কাটা। গবেষকদের ধারণা এই যন্ত্রাংশটি দিয়েই দড়ি বোনা হত। অতীতে এমন যন্ত্রাংশ বেশ কয়েকটি পাওয়া গিয়েছে। এই জার্মান গবেষকদলের বক্তব্য, সবক’টি যন্ত্রাংশই প্রাচীন প্রস্তর যুগের। সে সময় থেকে দড়ির ব্যবহার আয়ত্ত করে মানুষ। গবেষক দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, যে আদিম মানুষ কীভাবে দড়ি তৈরি করত তা একটি প্রশ্নচিহ্ন ছিল। আর এই যন্ত্রাংশটিই সেই প্রশ্নের উত্তর।