নিউজ ডেস্ক:
চলতি অর্থ-বছরে আরো বেশি মানুষ করজালে আসবেন। ৩১ ধরনের কাজের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে ১২ ডিজিটের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নিতে হবে। নতুন বাজেটে এই তালিকায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসা, মোবাইল ব্যাংকিং, পরিবেশক এজেন্সি, বিভিন্ন ধরনের পরামর্শক, ক্যাটারিং, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, জনবল সরবরাহ ও সিকিউরিটি সার্ভিস। এমনকি আমদানি-রফতানির বিল অফ এন্ট্রি জমা দিতে হলেও টিআইএন লাগবে। টিআইএন ছাড়া এখন থেকে এসব ব্যবসা করা যাবে না।
মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসা করেন পাড়া-মহল্লায় হাজার হাজার তরুণ। এটা কর্মসংস্থানের নতুন খাত হয়ে গেছে। ওই সব তরুণের অনেকেই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করেন। এজন্য তারা সংশ্লিষ্ট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে এজেন্টশিপ নেন। এবার তাদের টিআইএন নিতে হবেই। টিআইএন ছাড়া এই ধরনের ব্যবসা করা যাবে না।
আবার বিভিন্ন কোম্পানি নিজেদের পণ্য ও সেবা বেচাকেনার জন্য দেশজুড়ে পরিবেশক বা এজেন্ট নিয়োগ দেয়। এই এজেন্ট ও পরিবেশকদেরও এখন টিআইএন নেয়া বাধ্যতামূলক। আবার একজন ব্যক্তি যদি কোন প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ সেবা, খাবার সরবরাহ, ইভেন্ট ম্যানেজ সেবা, জনবল সরবরাহ এবং নিরাপত্তা সেবা (সিকিউরিটি সার্ভিস) দেন; তাহলে ওই ব্যক্তিকে অবশ্যই টিআইএন নিতে হবে।
কিছু ব্যবসা বা কাজ করতে কিংবা পেশাজীবীদের টিআইএন থাকা আগে থেকেই বাধ্যতামূলক। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঋণপত্র স্থাপন, রফতানি নিবন্ধন সনদ নেয়া, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়া বা পুনর্নিবন্ধন, দরপত্র জমা, অভিজাত ক্লাবের সদস্যপদ গ্রহণ, বিমা জরিপ প্রতিষ্ঠান, জমি, ভবন ও ফ্ল্যাট নিবন্ধন, মোটরসাইকেল-বাস-ট্রাকের মালিকানা পরিবর্তন ও ফিটনেস নবায়ন, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, হিসাববিদসহ বিভিন্ন ধরনের পেশাজীবী সংগঠন সদস্য, কোম্পানির পরিচালক ও স্পনসর শেয়ারহোল্ডার, বিবাহ নিবন্ধনকারী বা কাজি, ড্রাগ লাইসেন্সধারী।