নিউজ ডেস্ক:
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কর্মসংস্থান ব্যাংকের নিজস্ব ভবন ৩০ তলা বিশিষ্ট হবে। এরই মধ্যে ভবন তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত শনিবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে কর্মসংস্থান ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা-২০১৭ এ ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এ ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১১ কোটি টাকা। আগামী বছর এ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মো. আবুল হোসেন আরো বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ৩ তলা বেজমেন্টের ওপর ৩০তলা ভবন নির্মাণে ৪ বছরে মোট ২১০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় প্রাক্কলনে গৃহীত প্রকল্প সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন ব্যাংকের মূলধনের জন্য সরকারের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে, তেমনই ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি ক্রমান্বয়ে সমৃদ্ধ হবে। সম্পদের মূল্য শেয়ারপ্রতি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
সভায় জানানো হয়, দেশের বেকার যুবদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে কর্মসংস্থান ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে এ ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা ছিল। বিভিন্ন ধাপে অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে ১ হাজার কোটি ও ৮০০ কোটি টাকা।
পরিশোধিত মূলধন ৮০০ কোটি টাকা থেকে এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে ৪১৫ কোটি টাকা এবং ১৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও তফসিলি ব্যাংকের কাছ থেকে ৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। ফলে প্রাপ্ত পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪৯৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
ব্যাংকটির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ ব্যাংকের ঋণ বিতরণের পরিমাণ ৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আদায়কৃত ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৪৪১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আদায়ের হার ৯৪ শতাংশ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান পরীক্ষিৎ দত্ত চৌধুরী এবং পরিচালনা বোর্ডের পরিচালকরা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কর্মসংস্থান ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আলমগীর, মহাব্যবস্থাপক গোকুল চন্দ্র রায়, মো আব্দুল মান্নান, ম হ ম আলী করিম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে অবস্থিত।