কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির একটি পক্ষ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের নেতৃত্বে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা শেষ করে থানা সড়কের দলীয় কার্যালয়ে হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছিল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সাবেক মেয়র জেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. নুরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য তবিবর রহমান মিনিসহ দলের প্রায় ৪০-৫০ জন নেতা-কর্মী। এ সময় হঠাৎ পেছন দিক দিয়ে ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ধাওয়া করে এবং উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিকট শব্দে তিনটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাইদুল বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা শেষে আমরা সাইফুল ইসলাম ফিরোজের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণভাবে হেঁটে হেঁটে শহরের থানা সড়কের দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে। এরা সবাই হামিদুল ইসলাম হামিদের সন্ত্রাসী ক্যাডার। আমাদের পাল্টা প্রতিরোধের মধ্যে তারা পিছু হটে।’
সাবেক ছাত্রনেতা হামিদুল ইসলাম হামিদ বলেন, ‘আমি মারামারির বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। তবে রনি নামের আমার এক কর্মী আহত হয়েছেন।’
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, ‘নবগঠিত ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা শেষ করে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে আমি থানা সড়কের দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে। এরা সবাই ঝিনাইদহ জেলা আহ্বায়ক কমিটির পদবঞ্চিত।’
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।