নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় ১৪ বছর সংসার করার পর এক সন্তানের জননী নগদ টাকা ও সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছেন, এমনই এক অভিযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দারস্থ হন সদর উপজেলার হায়দারপুরের মিঠু।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কোর্টপাড়ার মৃত আব্দুলের মেয়ে পারুলের সঙ্গে ১৪ বছর আগে সদর উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের তাহাজ্জেদ মল্লিকের ছেলে মিঠুর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাঁদের দাম্পত্য জীবনে আপন (১২) নামের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
অভিযোগকারী মিঠু জানান, ‘৪ মাস পূর্বে পাবনা জেলার সূর্যনগর থানার শামসুল মোল্লার ছেলে শাহিনের প্ররোচনায় পড়ে আমার স্ত্রী পালিয়ে যায়। এ সময় আমার বাড়ি থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের সোনা ও নগদ ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে শাহিনের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে সে। পরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ হলে সে শাহিনের সঙ্গে বিয়ে করেছে বলে জানায়। তবে আমি এখনো কোনো তালাকনামা পাইনি। গত ২৭ জুন আমার ছেলে আপন শাহিনের বাড়ি পাবনায় চলে যায়। এ ঘটনার পর শাহিন আমার ছেলেকে সিগারেটের জ্বলন্ত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষত সৃষ্টি করে। এ ছাড়া আমাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি প্রদান করে।’
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি অভিযোগ পেয়েছি। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’