এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ; সারা দেশে পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৭৫.৬৫
বেড়েছে জিপিএ-৫ ও পাসের হার; সারা দেশে জিপিএ-৫ সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫৭৬, যশোর বোর্ডে ৫ হাজার ৩১২
রাহুল রাজ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা ২০১৯-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন। এতে দেখা গেছে, এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১০টি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ হাজার ৫৮৬ শিক্ষার্থী। সাধারণ ৮ বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ২৪৩ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৬২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ২৩৬ জন।
যশোর বোর্ডে পাসের হার বেড়েছে ১৫.২৫ শতাংশ:
উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা ২০১৯-এ গত দুবছর নি¤œমুখী ফলের পর এবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। এবার যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৬০ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ বছর বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিও। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৩১২ জন।
গত বছর এই সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৮৯ জন। তবে ২০১৬ সালে ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ পাসের হার নিয়ে দেশসেরা হয়েছিল যশোর বোর্ড। গতকাল বুধবার দুপুরে প্রকাশিত ফলে এ চিত্র উঠে এসেছে। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র এ ফল নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এবারের ফল সন্তোষজনক। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গতবারের চেয়ে এবার ভালো ফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।
যশোর বোর্ডের প্রকাশিত ফল থেকে জানা যায়, এ বছর যশোর বোর্ড থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৯ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৫ হাজার ৪৯৫ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৪৪২ এবং ছাত্রী ৪৮ হাজার ৫৩ জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৩১২ জন। বহিষ্কৃত হয়েছে ৬০ জন।
যশোর বোর্ডের ১০ জেলার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে খুলনা জেলা, দ্বিতীয় স্থানে বাগেরহাট, তৃতীয় স্থানে সাতক্ষীরা, চতুর্থ স্থানে কুষ্টিয়া, পঞ্চম স্থানে চুয়াডাঙ্গা, ষষ্ঠ স্থানে মেহেরপুর, সপ্তম স্থানে যশোর, অষ্টম স্থানে নড়াইল, নবম স্থানে ঝিনাইদহ এবং সর্বশেষ দশম স্থানে রয়েছে মাগুরা জেলা।
শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, এ বছর যশোর বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২১ হাজার ১৪৬ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৮ হাজার ১০০ জন। পাসের হার ৮৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৫৪১ জন। মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৮২ হাজার ৪০৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৮ হাজার ৮৩৫ জন। পাসের হার ৭১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৩২ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ২২ হাজার ৬৮০ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ১৮ হাজার ৫৬০ জন। পাসের হার ৮১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩৯ ছাত্র-ছাত্রী।
এবারের ফলের চিত্র তুলে ধরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, সবার সহযোগিতায় গত দুই বছরের তুলনায় এবার যশোর বোর্ডে ভালো ফল অর্জন সম্ভব হয়েছে। এবার দুদক ও মন্ত্রণালয়ের নোটিশের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের ফরমপূরণ করায়নি। ফলে নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় পাসের হার বেড়েছে। আরও একটি বড় ব্যাপার হলো স্কুলপর্যায়ে প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়া এসএসসির প্রথম ব্যাচটি উত্তীর্ণ হয়েছিল ২০১৭ সালে। ওই শিক্ষার্থীরাই এবার এইচএসসিতে অংশ নিয়েছে। এটিও ভালো ফলের আরেকটি কারণ।
এদিকে যশোর বোর্ডে এবারে চুয়াডাঙ্গার অবস্থান গতবছরের থেকে বেশ ভালো। গত বছর যশোর বোর্ডে চুয়াডাঙ্গা ছিলো সপ্তম স্থানে, এবারে দুই ধাপ এগিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। পঞ্চম স্থান অধিকারী চুয়াডাঙ্গা জেলার ২৩টি কলেজের ৭ হাজার ৯৬০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ৫২৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৭১ দশমিক ৪২ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গায় ২৩টি কলেজের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান জানান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে এবারে এ প্লাসের সংখ্যা গতবারের থেকে যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনি বেড়েছে পাসের হার। বিজ্ঞান বিভাগে ১০০ জন, মানবিকে ৪৮ জন ও ব্যাবসায় শিক্ষায় ৮ জনসহ মোট ১৫৬ জন এ প্লাস পেয়েছে। এ পেয়েছে ৫০৩ জন। বিজ্ঞানে ৯৬ দশমিক ৮০, মানবিকে ৮৭ দশমিক ০৭ ও ব্যাবসায় শিক্ষায় ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশসহ মোট পাসের হার ৯১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
মেয়েরা এগিয়ে:
উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হারে গতবারের মতো এবারও ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। ছেলেদের পাসের হার ৭১ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫-এ এগিয়ে ছেলেরা। এবার সারা দেশে গড় পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফলাফল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সচিবালয়ে এই ফলাফল প্রকাশ করেন। এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৭ লাখ ৩ হাজার জন ছাত্র অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৮২৮ জন। পাসের হার ৭১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রের সংখ্যা ২৪ হাজার ৫৭৬ জন। এবারের পরীক্ষায় ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৬২৯ জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৪৪ জন। মেয়েদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ হাজার ৭১০ জন ছাত্রী। এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে সারা দেশে ২ হাজার ৫৬০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
৪১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস করেননি কেউ:
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৪১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। অপর দিকে ৯০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এবার মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ৮ হাজার ৯৮৫টি। গতকাল সকাল ১০টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও সব বোর্ডের চেয়ারম্যানেরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফলাফলের সম্পৃক্ত কিছু তথ্য তুলে ধরেন। এবার ১০ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ হাজার ২৮৬ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার শতকরা ৭০জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯ জন। আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের পরীক্ষার্থী ছিল ৮৪৫ জন। পাস করেছে ৬০৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন। আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজে পরিক্ষার্থী ছিল ২৮৩ জন, পাস করেছে ১৩৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, পাসের হার ৪৮ দশমিক ৯৪। হারদী এমএস জোহা ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষার্থী ৩৩৪ জন। পাস করেছে ১৯৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। মুন্সিগঞ্জ নীগার সিদ্দিক কলেজে পরীক্ষার্থী ২১৬ জন। পাস করেছে ১১৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, পাশের হার ৬৫ দশমিক ২, হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষার্থী ৭৬ জন। পাস করেছে ৫৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, পাসের হার ৭৪ জন।
দামুড়হুদা:
দামুড়হুদা উপজেলায় এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। উপজেলার ৩টি কলেজ ও ২টি মাদ্রাসার ২ হাজার ৭৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৩৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে। দর্শনা সরকারি কলেজে ১ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮জন জিপিএ-৫সহ ৭০০ জন পাস করেছে। পাসের হার শতকরা ৭০ জন, এর মধ্যে ২৫১ জন এ গ্রেড পেয়েছে। দামুড়হুদা আব্দুল ওয়াদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজে ৬৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন জিপিএ-৫সহ ৩৬৭ জন ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে। এর মধ্যে ৪১ জন এ গ্রেড, পাসের হার শতকরা ৬০ জন। কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজে ৩৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন জিপিএ-৫সহ ২১২ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এদের মধ্যে এ গ্রেড ৩৬ জন, পাসের হার শতকরা ৬২ দশমিক ৫৩। এ ছাড়া ২টি মাদ্রাসার মধ্যে দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার ৪০ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ৩১ জন পাস করেছে। পাসের হার শতকরা ৭৯ দশমিক ৪৮। কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে ৩৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৪ জন পাস করেছে। পাসের হার শতকরা ৯০ জন।
জীবননগর:
২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ১৩ জন জিপিএ-৫সহ শতকরা ৮৩ জন পাস করে উপজেলায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছে জীবননগর সরকারি আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ। এ বছর উপজেলা থেকে ৯০৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ৫৯৩ জন। জীবননগর ডিগ্রি কলেজে ৩৭৫ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। জীবননগর সরকারি আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজে ২৪১ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২০০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন। উথলী মহাবিদ্যালয় ১৮৩ জনের উত্তীর্ণ হয়েছে ১০৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, আন্দুলবাড়িয়া কলেজে ১০৯ জনের মধ্যে উর্ত্তীণ হয়েছে ৪৫ জন, জীবননগর উপজেলা আলিম আলিয়া মাদ্রসায় ৪০ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, হাসাদহ মডেল ফাজিল মাদ্রাসায় ৬৯ জনের উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, আন্দুলবাড়ীয়া আশরাফিয়া আলিম মাদ্রাসায় ১৪ জনের সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে, কারিগরি শাখা (বিএম) জীবননগর ডিগ্রি কলেজে ৬৫ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন এবং জীবননগর সরকারি আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজে ৪৬ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।
মেহেরপুর:
মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলায় এইচএসসিতে গতকাল বুধবার প্রকাশিত ফলাফলে পাশের হারে শীর্ষে যাদুখালী স্কুল অ্যন্ড কলেজ। পাসের হার ৮৬ ভাগ। অপর দিকে জিপিএ-৫ এ শীর্ষে রয়েছে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ। প্রতিষ্ঠানটিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯ জন। পাসের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ। হার ৭৮ দশমিক ৯৭ ভাগ। মহাজনপুর কলেজে ৭৫ ভাগ, মেহেরপুর পৌর কলেজ ৭০ দশমিক ৭৯, মেহেরপুর সরকারি কলেজ ৬৫ দশমিক ৪৩, মুজিবনগর সরকারি কলেজ ৫৯ দশমিক ১৯ এবং এআরবি কলেজের ৪৯ দশমিক ৬৭ ভাগ পাস করেছে।
এদিকে, এইচএসসি পরীক্ষায় এবার গাংনী উপজেলায় পাসের হার ৭২ দশমিক ৪৮। গতকাল বুধবার প্রকাশিত ফলাফলে উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৪ জন। ফলাফলে এবারও গাংনী উপজেলায় শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার পাশাপাশি জেলাতেও শীর্ষে সন্ধানী স্কুল অ্যন্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির ৮৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ৮৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭৬। পাসের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভাটপাড়া বিএন কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির পাসের হার শতকরা ৮০ দশমিক ৭৬। গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ পাসের হার শতকরা ৭৫ দশমিক ১১, গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজে ৭৪ দশমিক ২৩, তেরাইল জোড়পুকুরিয়াা ডিগ্রি কলেজ ৬৬ দশমিক ৬৬, কাজিপুর কলেজ ৬৭ দশমিক ৯৩, করমদি কলেজ ৬৮ দশমিক ২৭, মটকা জাগরণ মহাবিদ্যালয় ৫০, বামুন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬৯ দশমিক ৬৩, কুতুবপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৭২ দশমিক ৩৬ এবং গাংনী মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৬৭ দশমিক ৩৩ ভাগ পাস করেছে। এ ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি কলেজের ৪ জন পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে।
ঝিনাইদহ:
২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে ৪৬ জন গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। মোট ৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৬ জন গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন পেয়েছে জিপিএ-এ। অন্যবারের ন্যায় এ বছরও ফলাফলে শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে ঐতিহ্যবাহী এ ক্যাডেট কলেজটি। কলেজ অধ্যক্ষ মো. আতিকুর রহমান জানান, ক্যাডেটদের অক্লান্ত পরিশ্রম, অভিভাবকদের আন্তরিকতা ও শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
হরিণাকু-ু:
ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলাতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজ শীর্ষে। মহিলা কলেজ ভালো ফলাফল করাতে অভিনন্দন জানিয়েছেন কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. রওশন আলী। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোক্তার আলীর সভাপতিত্বে শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. মাহাবুব মোরশেদ শাহীন, এ টি এম শরিফুজ্জামান, মো. সোহরাব হোসেন, মো. আজিজুর রহমান প্রমুখ। সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজে পাসের হার শতকরা ৮৩ দশমিক ৬, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। সরকারি লালন শাহ্ কলেজে শতকরা ৬৭ দশমিক ৪৩, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। হাজী আরসাদ আলী কলেজে শতকরা ৭৩ দশমিক ৬১, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। জোড়াদাহ কলেজে শতকরা ৬৪ দশমিক ৫৮, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। মানদিয়া আইডিয়াল কলেজে শতকরা ৭৪ দশমিক ১৯, পাইলট কলেজ শতকরা ৭৫ জন ও প্রিয়নাথ কলেজে শতকরা ৪৫ জন পাস করেছে।