চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরপি) নিয়োগের চুয়াডাঙ্গা জেলার লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও একই সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনস মাঠে ফল প্রকাশ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)। ফল প্রকাশের পরই মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ কোটায় (পুরুষ) ১১২ জন, সাধারণ কোটা (নারী) ২৯ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা (পুরুষ) ৫ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা (নারী) ২ জন, পুলিশ পোষ্য কোটা (পুরুষ) ২ জন, আনসার কোটায় (পুরুষ) ১ জনসহ মোট ১৫১ জন উত্তীর্ণ হয়। এর পরই সবার সামনে ১৫১ জনের আলাদ আলাদাভাবে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। আজ ১৫১ জনের মধ্য পুরুষ ১৮ জন, নারী ৩ জন ও নারী শূন্য কোটায় আরও ২০ জন সবমিলিয়ে ৪১ জন নারী-পুরুষকে কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে এক লিখিত বার্তায় চুয়াডাঙ্গাবাসীর উদ্দেশে এ নিয়োগ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন।
তাঁর দেওয়া পোস্টটি তুলে ধরা হলো, ‘প্রিয় চুয়াডাঙ্গাবাসী, আগামীকাল (আজ) ২৬ জুন ২০১৯ বুধবার বিকেল ৫ ঘটিকায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনস মাঠে কনস্টেবল রিক্রুটমেন্ট ২০১৯-এর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। সর্বশেষ ১৫১ জন ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। আজ (গতকাল) দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি সবার সামনে একজন একজন করে ভাইভা পরীক্ষা নেওয়া হয়। সম্পূর্ণ মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে ভাইভার নম্বর যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল আগামীকাল (আজ) বিকেল পাঁচটায় ঘোষণা করা হবে। আমি জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল পর্যায়ের নাগরিককে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ তাঁরা আমাকে বিভিন্নভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার দুজন মাননীয় সংসদ সদস্য, সাংবাদিক ভাইয়েরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ বিভিন্ন সময় আমাকে তথ্য দিয়ে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, তা আমি চিরকাল মনে রাখব। আপনারা আমার ওপর যে গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছেন, আমি চেষ্টা করেছি আমার মেধা, আমার ইন্টেলিজেন্স এবং যোগ্যতা দিয়ে তা যথাযথভাবে পালন করার।
আগামীকাল (আজ) যারা চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে চূড়ান্তভাবে পুলিশে চাকরির জন্য নির্বাচিত হবে, আশা করছি তারা তাদের মেধা, যোগ্যতা এবং নিরপেক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের নতুন সদস্য হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করবে, ইনশা আল্লাহ। বাংলাদেশ পুলিশ সততার সাথে যেভাবে তার দায়িত্ব পালন করছে, তার নতুন অংশীদার হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলার চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত এই নবীন রিক্রুট কনস্টেবলরা কাল থেকে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে, অভিষেক হবে একগুচ্ছ নতুন পায়রার। সকলের মঙ্গল কামনায়, পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা।’