মাউন্ড এভারেস্টে নিখোঁজ হওয়া এক ব্রিটিশ পর্বতারোহীর পায়ের অবশিষ্টাংশসহ একটি বুট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ১০০ বছর আগে এভারেস্টে নিখোঁজ হওয়া অ্যান্ড্রু আরভিন নামের যুবকের বুট এটি। সাম্প্রতিক এই আবিষ্কারে বড় একটি রহস্যের সমাধান হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
অ্যান্ড্রু কমিন স্যান্ডি আরভিন ১৯২৪ সালে তার সঙ্গী জর্জ ম্যালোরিকে নিয়ে এভারেস্টে ওঠার পদক্ষেপ নেন। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন এই যুগল। এরপর প্রেমিকার দেহাবশেষ পাওয়া গেলেও নিখোঁজ ছিলেন আরভিন।
তবে গত মাসে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডকুমেন্টারির একটি দল এভারেস্টে একটি পায়ের সাথে ধাক্কা খায়। হীমবাহ গলে যাওয়া এই পা’টি বেরিয়ে আসে।
বিখ্যাত অভিযাত্রিক জিমি চিন এই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন। এই মুহূর্তকে তিনি স্মরণীয় ও আবেগঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন।
অনেকেই ধারণা করছেন, এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে সর্বপ্রথম মানব হিসেবে এভারেস্টে পৌঁছানোর ২৯ বছর আগে হয়তো অ্যান্ড্রু কমিন স্যানডে আরভিন প্রথম আরোহী হিসেবে সফল হয়েছিলেন।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ খুঁজে পাওয়া পায়ের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করবেন। এ জন্য তারা বিদেশি, কমনওয়েলথ এবং ডেভেলপমেন্ট অফিসারের মন্তব্য চেয়েছে।
এ ঘটনা পর্বতারোহণের সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর সমাধানে সাহায্য করতে পারে। অনেকেই ধারণা করছেন, এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে সর্বপ্রথম মানব হিসেবে এভারেস্টে পৌঁছানোর ২৯ বছর আগে হয়তো অ্যান্ড্রু কমিন স্যানডে আরভিন প্রথম আরোহী হিসেবে সফল হয়েছিলেন।
এভারেস্টে ওঠার সময় আরভিনের শরীরে একটি ক্যামেরার ভেস্ট লাগানো ছিল। সেই ক্যামেরাটি উদ্ধার করা সম্ভব হলে পর্বতারোহণের অনেক ইতিহাস নতুন করে জানা যাবে বলে অনেকই ধারণা করছেন। এভারেস্টের চূড়ায় যদি তারা পৌঁছেই থাকেন, তবে অবশ্যই সেই মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধরা পড়ার কথা। তথ্যচিত্র নির্মাতা দলটি এখন ক্যামেরাটির অনুসন্ধান করছে।