জীবননগর আন্দুলবাড়ীয়ায় গৃহবধূকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার রায়
নিউজ ডেস্ক:জীবননগর আন্দুলবাড়ীয়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় হাবিল হোসেন (৩৫) ও লিপন আলী (৩২) নামের দুজনকে ১৪ বছর করে কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। দ-প্রাপ্ত লিপন আলী ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে ও হাবিল হোসেন জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের সোনাই ম-লের ছেলে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৯ নভেম্বর বিকেলে বিপাশা খাতুন শ্বশুরবাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার বড়খাপুর গ্রাম থেকে বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামে আসছিলেন। বিপাশা খাতুন গাড়ি থেকে নেমে জীবননগরের আন্দুলবাড়ীয়া বাজারে দাঁড়ান। এরপর তিনি হেঁটে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় গ্রামের মাঠে একা পেয়ে হাবিল হোসেন, লিপন আলীসহ পাঁচ-সাতজন বিপাশাকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোটরসাইকেলযোগে অপহরণ করে নিয়ে যান। গৃহবধূর পরিবার বিষয়টি জীবননগর থানার পুলিশকে জানায়। ঘটনার তিন দিন পর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান।
ওই বছরের ১২ নভেম্বর গৃহবধূ বিপাশার বাবা হারেজ ম-ল বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে জীবননগর থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আজগর আলী।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর নয়জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক একজন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৪ বছর করে কারাদ-, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণার সময় লিপন আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামি হাবিল হোসেন এখনো পলাতক।