নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠা-নামার সিঁড়ি অপসারণের জন্য নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই অবৈধ সিঁড়ির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।
অবৈধ সিঁড়ির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সড়ক ও সেতু সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
পরে এস এম মনিরুজ্জামান জানান, গত ২৮ মে এশিয়ান এজ পত্রিকায় ‘হানিফ ফ্লাইওভারের মাঝপথে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা, দেখার কেউ নেই’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত উক্ত আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠা-নামার জন্য ছয় থেকে সাতটি সিঁড়ি ও বাসস্টেশন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জল।
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম জানান, যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে ওঠার জন্য ৬ থেকে ৭টি সিঁড়ি ও বাসস্টেশন আছে। এসব স্টেশনে বাস ও লেগুনা থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামার কারণে প্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৩-৪ মাসে ফ্লাইওভারের ওপরে ১০ জনের বেশি লোক মারা গেছে। এ ছাড়া বাসস্টেশন থাকার কারণে প্রায়ই যানজট থাকে। বাংলাদেশের অন্যান্য ফ্লাইওভারে সিঁড়ি ও বাসস্টেশন নেই। এসব যুক্তি উল্লেখ করে ফ্লাইওভারে বাসস্টেশন ও সিঁড়ি অপসারণ চেয়ে রিটটি করা হয়। অবশ্য এই রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ।